জুমবাংলা ডেস্ক : ভর্তা-ভাত বাঙালির ঐতিহ্য। আর বাঙালি মানেই হরেক রকম ভর্তা, সাথে কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজ! ব্যস, পেট তো ভরবেই, সাথে মনও জুড়াবে। হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়েই জিভে জল আনার মত ৫০টি ভর্তা রেসিপি বানিয়ে নেওয়া যায়। আপনার শুভ দিনটাকে বিভিন্নরকম ভর্তা দিয়ে ভাত না খেলে কি আর চলে, বলুন তো? কিন্তু কী কী ভর্তা বানানো যায়, সেটা নিয়েও অনেকে চিন্তায় পড়ে যায়। চলুন দেরি না করে জেনে নেই ৫০টি ভর্তার রেসিপি!
টমেটো ভর্তা : উপকরণ : টমেটো- আধা কেজি, কাঁচা মরিচ- ৫/৬টি, লবণ- পরিমাণ মতো, পিঁয়াজ কুচি- সিকি কাপ, ধনে পাতা কুচি- সিকি কাপ, সরিষার তেল- পরিমাণ মতো। প্রণালীঃ টমেটো ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন। ফ্রাই প্যানে টমেটোগুলি দিয়ে ঢেকে দিন অল্প আঁচে। ১০/১৫ মিনিট পর উল্টিয়ে দিন। টমেটো সিদ্ধ হয়ে গেলে প্যান থেকে নামিয়ে খোসা ছাড়িয়ে চটকিয়ে নিন।এবার পাত্রে পিঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ধনে পাতা কুচি আর চটকানো টমেটো নিয়ে হাত দিয়ে মাখুন। আধা মাখা হলে তেল দিয়ে ভালভাবে মেখে ভর্তা করে নিন। তৈরি হয়ে গেল চমৎকার টমেটো ভর্তা।
ইলিশ-কচুশাক ভর্তা : ৫০টি ভর্তা রেসিপি এর মধ্যে ১ নম্বর এটি। উপকরণঃ কচু শাক- ২৫০ গ্রাম, ইলিশ মাছের মাথা- ১টি, লেবুর খোসার কুচি- ১ চা চামচ, কাসুন্দি- ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ- ৪/৫টি, রসুন কোয়া- ৪টি, পেঁয়াজ কুচি- ১ টেবিল চামচ, সরষের তেল- ১ টেবিল চামচ, লবণ- স্বাদমতো, লেবুর রস- ১ টেবিল চামচ। প্রণালীঃ কচুর পাতা গোটা অবস্থায় ধুয়ে নিতে হবে।এবার মাছের মাথার সঙ্গে পেঁয়াজ বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে নিন।তারপর মাছের মাথাটা কচু পাতা দিয়ে গোল (রোল) করে পেঁচিয়ে সুতা দিয়ে বেঁধে নিতে হবে।এবার বসানো ভাতের ওপর অথবা ভাপে সেদ্ধ করে নিতে হবে।সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে প্রথমে মাছের মাথাটা তারপর শাক পাটায় বেটে মিশিয়ে নিন।এরপর কাঁচা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে মেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
লাউপাতা/কুমড়া পাতা ভর্তা : ৫০টি ভর্তা রেসিপি এর মধ্যে ২ নম্বর এটি। উপকরণঃ কচি লাউপাতা/কুমড়া পাতা- ১৫/২০টি, ছোট চিংড়ি- ১/২ কাপ, পেঁয়াজ- ১/৪ কাপ, কাঁচামরিচ- পরিমানমতো, রসুন- ১ টেবিল চামচ, লবণ- স্বাদমত, সরিষার তেল- ১ টেবিল চামচ। প্রণালীঃ লাউপাতা ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বাকি সব উপকরন দিয়ে প্যানে একটু নেড়ে পানি শুকিয়ে নিন।পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে হাতে চটকিয়ে পেস্ট করে নিন। সব শেষে সরিষার তেল মেখে পরিবেশন করুন।
চিংড়ি ভর্তা : ৫০টি ভর্তা রেসিপি এর মধ্যে ৩ নম্বর এটি। উপকরণঃ ছোট চিংড়ি- ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ- ২টি, আস্ত রসুন- ২টি, শুকনো লাল মরিচ- ৫/৬টি, কাঁচামরিচ- ৫/৬টি, তেল- পরিমাণ মতো, লবণ- স্বাদ অনুযায়ী। প্রণালীঃ প্রথমে চিংড়ি বেছে ভালো করে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজ এবং রসুন ছোট ছোট টুকরো করে নিন।এখন একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে প্রথমে চিংড়ি লবণসহ কিছুক্ষণ ভেজে তাতে টুকরো করা রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও শুকনো মরিচ দিয়ে ভালো করে ভাজা ভাজা করে নামিয়ে শিলপাটায় মিহি করে বেটে তৈরি করে নিন চিংড়িভর্তা।
কালোজিরা ভর্তা : ৫০টি ভর্তা রেসিপি এর মধ্যে ৪ নম্বর এটি। উপকরণঃ কালোজিরা- সিকি কাপ, রসুনের কোয়া- ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ- ৩/৪টি, পেঁয়াজ কুচি- ১ টেবিল চামচ, লবণ- পরিমাণ মতো, সরিষার তেল- ১ টেবিল চামচ। প্রণালীঃরসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ প্যানে টেলে নিন।এরপর তেল বাদে সব উপকরণ পাটায় বেটে নিন।*এবার বাটা মিশ্রণে তেল দিয়ে মাখিয়ে তৈরি করে নিন কালোজিরা ভর্তা।
আলু ভর্তা : ৫০টি ভর্তা রেসিপি এর মধ্যে ৫ নম্বর এটি। উপকরণঃ আলু- ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুঁচি- ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি- ১ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি- ১ চা চমচ, সরিষার তেল- ১ টেবিল চামচ, লবণ- স্বাদ অনুযায়ী। প্রণালীঃ প্রথমে আলু পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সেদ্ধ করে গরম অবস্থায় খোসা ছাড়িয়ে হাত দিয়ে চটকিয়ে নিন।এরপর ঠাণ্ডা হয়ে এলে তাতে একে একে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ কুচি, স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে একসঙ্গে চটকিয়ে তৈরি করুন আলুভর্তা।
পেঁপে ভর্তা : ৫০টি ভর্তা রেসিপি এর মধ্যে ৬ নম্বর এটি। উপকরণঃ পেঁপে- আধা কেজি, কাঁচা মরিচ- ৩/৪টি,পেঁয়াজ- ২/৩টা, লবণ- পরিমাণমতো। প্রণালীঃ পেঁপে ছিলে সেদ্ধ করে পানি চিপে ফেলে দিন।এবার সেদ্ধ পেঁপে, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, লবণ, তেল এক সঙ্গে চটকে নিয়ে হাতে মেখে তৈরি করুন পেঁপে ভর্তা।
টাকি মাছ ভর্তা : ৫০টি ভর্তা রেসিপি এর মধ্যে ৭ নম্বর এটি। উপকরণঃ টাকি মাছ- ২৫০ গ্রাম, হলুদ- সামান্য, পেঁয়াজ কুচি- আধা কাপ, রসুন কুচি- ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ- ৪-৫টি, ধনেপাতা- ১ মুঠো, লেবুর খোসা কোরানো- সামান্য, সরিষার তেল- ২ টেবিল চামচ, লবণ- স্বাদমতো। প্রণালীঃ মাছ, হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে বা ভেঁজে কাঁটা বেছে নিতে হবে।এবার কড়াইয়ে তেল, পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচামরিচ দিয়ে ভাজতে হবে। নামানোর কিছুক্ষণ আগে ধনেপাতা কুচি ও লেবুর খোসা দিয়েই নামিয়ে নিন।*এবার এতে সেদ্ধ বা ভাঁজা মাছ দিয়ে খুব ভালো করে মেখে ভর্তা তৈরি করুন।
বেগুন ভর্তা : ৫০টি ভর্তা রেসিপি এর মধ্যে ৮ নম্বর এটি। উপকরণঃ বেগুন– ৪০০ গ্রাম, সরিষার তেল– ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি– ১/৪ কাপ, কাঁচামরিচ– ৪/৫ টা (কুচি করে দিতে পারেন অথবা হাল্কা করে টেলে নিয়ে ভর্তা করে দিতে পারেন), ধনিয়াপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ, লবণ- স্বাদমতো। প্রণালীঃ বেগুন নরম হওয়া পর্যন্ত পুড়িয়ে নিন। বেগুন পোড়া হয়ে গেলে বেগুনটা ঠান্ডা হতে দিন।তারপর পোড়া বেগুনের চামড়া আস্তে আস্তে ছাড়িয়ে নিয়ে ভাল করে ভর্তা করে নিন।*এরপর পেঁয়াজকুচি, মরিচকুচি, লবণ ও ধনিয়াপাতা কুচি দিয়ে হাতে মেখে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বেগুন ভর্তা।
সবজি ভর্তা : ৫০টি ভর্তা রেসিপি এর মধ্যে ৯ নম্বর এটি। উপকরণঃ আলু- ২টি, মিষ্টি কুমড়া- আধা কাপ, ফুল কপি- ১ কাপ, ব্রকলি- ১ কাপ, বরবটি- ১ কাপ, গাজর- ১/২ কাপ, লবণ- পরিমাণমতো, সরিষার তেল- ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ/শুকনা মরিচ ভাজা- ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি- সিকি কাপ, ধনেপাতা কুচি- ৪ টেবিল চামচ। প্রণালীঃ সব সবজি চারকোনা করে কেটে নিন। তারপর সামান্য লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।এরপর সবজিগুলো একসঙ্গে চটকিয়ে এতে সরিষার তেল, ভাঁজা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে মেখে সবজি ভর্তা তৈরি করুন।
কাঁচকলা-ইলিশ ভর্তা : ৫০টি ভর্তা রেসিপি এর মধ্যে ১০ নম্বর এটি। উপকরণ : কাঁচকলা- ২টি (মাঝারি), ভাজা ইলিশ মাছ- ২ টুকরা (কাঁটা ছাড়ানো), শুকনো মরিচ ভাজা- ২টি, কাঁচামরিচ কুচি- ২টি, পেঁয়াজ কুচি- ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল- ২ চা চামচ, লবণ স্বাদ মতো। প্রণালী : কাঁচকলা ডুবো পানিতে সেদ্ধ করুন। তারপর কলার খোসা ছাড়িয়ে চটকে রাখুন।এবার ইলিশ মাছ, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, লবণ ও তেল একসঙ্গে মাখুন। মাখা হলে কাঁচকলা দিয়ে ভালো করে মেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।
ডাল ভর্তা : উপকরণ : ডাল- ১ কাপ, পানি- ৩ থেকে সাড়ে ৩ কাপ, রসুন কুচি- আধা চামচ, পেঁয়াজ কুচি- ১ চা চামচ, লবণ- আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি- ২টি, তেল- ১ চা চামচ। প্রণালী : সব উপকরণ দিয়ে ডাল সিদ্ধ করতে হবে। ঘন থকথকে হলে নামিয়ে নিতে হবে।এবার পেঁয়াজ গোল করে কাটা- ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ- পরিমাণমতো, লবণ- পরিমাণমতো, সরষের তেল- ২ টেবিল চামচ নিয়ে সব উপকরনের সাথে ডাল দিয়ে হাতে মাখে ভর্তা তৈরি করুন।
ডিম-আলু ভর্তা : সেদ্ধ ডিম- ১টি, সেদ্ধ আলু- ৪টি মাঝারি, তেলে ভাজা শুকনো মরিচ- ২/৩টি, পেঁয়াজ বেরেস্তা- ১ টেবিল চামচ, তেল- ১ চা চামচ, লবণ- স্বাদমতো। প্রণালী : ডিম, আলু সেদ্ধ করার পর চটকিয়ে নিন।পেঁয়াজ এবং মরিচ ভেঁজে তুলে রাখুন।*এবার চটকানো আলু-ডিম, ভাঁজা পিঁয়াজ-মরিচ এবং পরিমাণ মতো তেল ও লবন নিয়ে একসঙ্গে ভালোভাবে মেখে তৈরি করুন ডিম-আলু ভর্তা।
ঢেঁড়স ভর্তা : উপকরণ : ঢেঁড়স- ১ কাপ, পেঁয়াজ- ২টি, কাঁচা মরিচ- ৬টি, লবণ- পরিমাণমতো, তেল- ২ টেবিল চামচ, রসুন- ৫ কোয়া, ধনেপাতা- ৩ টেবিল চামচ। প্রণালী : প্রথমে ঢেঁড়স ধুয়ে সেদ্ধ করুন।তারপর কড়াইতে তেল গরম হলে ঢেঁড়স, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, রসুন, ধনেপাতা দিয়ে ভালোমতো ভাজুন।*ঠাণ্ডা হলে পাটায় বেটে নিন। তৈরি হয়ে গেল মজাদার ঢেঁড়শ ভর্তা। গরম ভাতের সাথে হরেক রকমের ভর্তা শুনেই জিভে পানি চলে আসে। এই ভর্তাগুলো সুস্বাদু তো বটেই, সাথে স্বাস্থ্যকরও।
ধনিয়া ভর্তা : উপকরণ : গোটা ধনিয়া- আধা কাপ, বড় রসুন- ১টি, শুকনো মরিচ- ৫/৬টি, লবণ- স্বাদ অনুযায়ী, সরিষার তেল- পরিমাণমতো। প্রণালী : প্রথমে ধনিয়া কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। তারপর ধনিয়া ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।এবার পাটায় ধনিয়া, রসুন, লাল মরিচ ও লবণসহ বেটে নিয়ে তাতে সরিষার তেল মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
টোল খোসা ভর্তা : উপকরণ : পটোলের খোসা- ১ কাপ, সরষে বাটা- ১ চা চামচ, রসুন- ১ কোয়া ভাজা, শুকনো মরিচ- ২/৩টি, পেঁয়াজ কুচি- ১ টেবিল চামচ, সেদ্ধ চিংড়ি মাছ- ৪/৫টি (ইচ্ছা), লবণ- স্বাদমতো। প্রণালী : পটোলের খোসা ছাড়িয়ে ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নিন।তারপর সরষে, রসুন, শুকনো মরিচ, লবণ ও সেদ্ধ চিংড়ি মাছ দিয়ে শিলপাটায় বেটে নিতে হবে।*সবশেষে পেঁয়াজকুচি দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন পটোলের খোসা ভর্তা।
পালংশাক ভর্তা : উপকরনঃ পালংশাক- ২০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ/শুকনা মরিচ ভাজা- ৫/৬ টি, পেয়াজ কুচি- ২ টেবিল চামচ, লবণ ও সরিষার তেল- পরিমান মত। প্রনালী : প্রথমে পালংশাক ভাল করে ধুয়ে বড় করে কেটে যে কোন পাত্রে সিদ্ধ করে নিন।শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে পেয়াজ কুচি, মরিচ ও লবণ দিয়ে হাতে চটকিয়ে মিহি করুন। তারপর সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন।
শিম ভর্তা : উপকরণ : শিম- আধা কেজি, সরিষার তেল- ৩ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ পোড়ানো বা ভাঁজা- ৫/৬টা, পিঁয়াজ কুচি- আধা কাপ, লবণ- পরিমাণমতো। প্রণালী : শিম কেটে ধুয়ে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে পানি শুকান।এবার পাত্রে তেল দিয়ে পিঁয়াজ কুচি অল্প ভেঁজে এবং মরিচ ভেঁজে নামিয়ে রাখুন।*তারপর পাত্রে পিঁয়াজ ভাজা, শুকনা মরিচ, লবণ হাত দিয়ে মেখে তার সঙ্গে শিম দিয়ে আবার মাখুন ভালোভাবে। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার শিম ভর্তা।
মুরগির মাংসের ভর্তা : # মুরগির মাংস ২৫০ গ্রাম (হাড় ছাড়া),# আদা বাটা আধা চা চামচ,# রসুন বাটা আধা চা চামচ,# লবণ পরিমাণমতো,# পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ,# সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ,# কাঁচা মরিচ কুচি ৩ টেবিল চামচ,# ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো,# ঘি ১ চা চামচ। তৈরী করার নিয়ম : ১. মুরগির মাংস লবণ, রসুন বাটা, আদা বাটা দিয়ে সিদ্ধ করে ছুরি দিয়ে লম্বা লম্বা করে নিন। ২. কড়াইয়ে ঘি দিয়ে মুরগির মাংস হালকা করে ভেজে নিন যেন লাল না হয়। ৩. একটি পাত্রে মুরগির মাংস, পেঁয়াজ কুচি, সরিষার তেল, লবণ, ধনেপাতা কুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে মেখে নিন। ৪. এরপর পোলাও বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন
কাচকি মাছ ভর্তা : উপকরণ : কাচকি মাছ এক কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৪টি, ধনেপাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো। প্রণালী : কাচকি মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। কাচকি মাছ, পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, কাঁচামরিচ অল্প তেলে কড়াইতে হালকাভাবে ভাজুন। ভাজা হলে লবণ ও ধনেপাতা দিয়ে পাটায় বেটে ভর্তা তৈরি করুন।
করল্লার ভর্তা : করল্লা ধুয়ে খুব মিহি করে কুঁচি করে নিন। এবার করল্লা কুচি চটকে নিয়ে পেঁয়াজ, কাচা মরিচ, লবন এবং তেল দিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।
সরিষা ভর্তা : উপরকণ: লাল সরিষা ৪ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ১টি, লবণ পরিমাণমতো। প্রণালী: সরিষা ভালো করে বেছে ধুয়ে কাঁচামরিচ এবং লবণ দিয়ে শিলপাটায় বেটে নিন।
ছুরি শুঁটকি ভর্তার রেসিপি : উপকরণ : ছুরি শুঁটকি ছোট করে কাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ২ কাপ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি আধা চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, তেল আধা কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, তেজপাতা ১টি, কাঁচামরিচ চার টুকরা করে কাটা ৬টি। প্রণালী : শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে সিদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। তেল গরম করে আদা-রসুন দিয়ে ভালো করে ভুনে শুঁটকি দিয়ে ভুনতে হবে। হলুদ, ধনে, মরিচের গুঁড়া, তেজপাতা, লবণ দিয়ে মাঝারি আঁচে ৮-১০ মিনিট ভুনে পেঁয়াজ দিয়ে ভুনতে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে চিনি, লেবুর রস, কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।
থানকুনি পাতার ভর্তা : উপকরণ : থানকুনি পাতা ১ কাপ, কাঁচামরিচ ২টি, রসুনের কোয়া ২টি, লবণ স্বাদ মতো, তিল ২ টেবিল চামচ, কালিজিরা ১ চা চামচ। প্রণালি : সব একসঙ্গে বেটে (সব পাতা ধুয়ে পানি মুছে নিতে হবে) ভর্তা তৈরি করতে হবে। এরপর গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
পেঁয়াজ পাতা ভর্তা : উপকরণ: ১ ইঞ্চি লম্বা করে কাটা পেঁয়াজ পাতা ২ কাপ,সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ,পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ,শুকনামরিচ ২টি,কাশুন্দি ১ চা চামচ,লবণ পরিমাণমতো। প্রণালী: ফ্রাই প্যান অথবা কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ পাতা ছেড়ে দিয়ে অল্প আঁচে ২-৩ মিনিট নাড়ুন। পেঁয়াজপাতা নরম হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার শুকনামরিচ, পেঁয়াজ কুচি ও লবণ ভালোভাবে ডলে পেঁয়াজ পাতা ও কাশুন্দি দিয়ে হালকাভাবে মেখে ভর্তা তৈরি করুন। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খেতে মজা ।
লাউ এর খোসা ভর্তা : উপকরণ: লাউ এর সিলকা-৩ কাপ, শুকনা মরিচ পোড়ানো-৪/৫টি, লবণ-পরিমাণ মতো, ধনে পাতা-সিকি কাপ, পিঁয়াজ কুচি-সিকি কাপ, সরিষার তেল-২ টেঃ চামচ। প্রণালী : লাউ-এর সিলকা ধুয়ে পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার তেলের মধ্যে লাউ এর সিলকা ভেজে নিন। শুকনা মরিচ ভেজে নিন, পিঁয়াজ ভেজে নিন। ধনে পাতা কুচি করে নিন। এবার লাউ এর সিলকা, শুকনা মরিচ, পিঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি সব এক সাথে পাটায় মিহি করে বেটে নিন। হয়ে গেল লাউ এর সিলকা ভর্তা।
চিনাবাদাম ভর্তার রেসিপি : উপকরণ : চিনাবাদাম ভাজা (খোসা ছাড়া) ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, ধনেপাতা কুচি ১ আঁটি, সরিষার তেল ১ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো। প্রণালি: কাঁচামরিচ কাঠখোলায় টেলে নিতে হবে। বাদামের লাল খোসা ঘষে তুলে ফেলে, পাটায় বেটে নিতে হবে। কাঁচামরিচ বেটে নিতে হবে। এবার তেলের সঙ্গে পেঁয়াজ, লবণ, ধনেপাতা কুচি চটকে বাদাম ও কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে মাখাতে হবে।গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
তাপসী জানালেন সুন্দরী হওয়ার গোপন রহস্য
মিষ্টি কুমড়ার ভর্তার রেসিপি : উপকরণ : মিষ্টি কুমড়া ২ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, পানি ১ কাপ, ধনেপাতা কুঁচি, ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি ৪/১ কাপ। প্রণালী : মিষ্টি কুমড়া খোসা ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার সিদ্ধ করা মিষ্টি কুমড়ার সঙ্গে সব উপকরণ খুব ভালো করে মেখে নিন। হয়ে গেল মজাদার মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা।
নারিকেল ভর্তা রেসিপি : উপকরন : নারিকেল কুচানো, হাফ কাপ– শুকনা লাল মরিচ, ঝাল বুঝে কয়েকটা, বেশী ঝাল চাইলে বেশী– লবন, স্বাদ মত(পরিমানটা আপনি নিজেও নির্ধারন করতে পারেন) প্রনালী : মরিচ পিষে নিন, সামান্য পানি যোগে।মরিচ মিহীন করে পিষতে হবে, সাথে লবন দিন।এবার নারিকেল কুরানো নিন এবং আবারো সামান্য লবন যোগে পিষুন।এবার ভাল করে মাখিয়ে নিন।
তিল বেগুনের ভর্তা রেসিপি : উপকরণবেগুন ২টি, তিল ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ২-৩টি, পোস্তদানা ১ চা চামচ, গোটা সরিষা ১ চা চামচ, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ, গোটা জিরা ১ চা চামচ, শুকনা মরিচ ২টি, টমেটো ২-৩টি, আলু সিদ্ধ ১টি। যেভাবে তৈরি করবেন : ১. বেগুন পুড়ে ভর্তা করে নিন। টমেটো পানিতে সিদ্ধ করে ভর্তা করে নিন। ২. তিল, সরিষা ও পোস্ত বেটে নিন। ৩. কড়াইয়ে তেল দিয়ে রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি হালকা লাল করে ভেজে আদা বাটা, তিল, সরিষা ও পোস্ত বাটা দিয়ে কষিয়ে বেগুন, টমেটো, আলু সিদ্ধ দিয়ে নাড়তে থাকুন যেন লেগে না যায়।৪. লবণ ও কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে নামিয়ে নিন।
কচুর ডাঁটার ভর্তা রেসিপি : উপকরণকচুর মোটা ডাঁটা আধা কেজি, ইলিশ মাছের মাথা ১টি, রসুন কুচি ৪ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, আদা কুচি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন বা সরিষা তেল ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ৩-৪টি। যেভাবে তৈরি করবেন : ১. প্রথমে ডাঁটার খোসা ছিলে ২ ইঞ্চি লম্বা করে কেটে লবণ-পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ২. কড়াইয়ে পানি, আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে ডাঁটা সিদ্ধ করে নিন। ৩. এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করে ইলিশ মাছের মাথা হলুদ ও লবণ দিয়ে ভেজে ভেঙে দিন। ওই তেলে রসুন কুচি, আদা কুচি, পেঁয়াজ কুচি একটু লাল করে ভেজে সিদ্ধ করা ডাঁটা, মাছের মাথা ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে নামিয়ে নিন।
মুরগির মাংসের ভর্তা রেসিপি : উপকরণমুরগির মাংস ২৫০ গ্রাম (হাড় ছাড়া), আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ৩ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, ঘি ১ চা চামচ। যেভাবে তৈরি করবেন১. মুরগির মাংস লবণ, রসুন বাটা, আদা বাটা দিয়ে সিদ্ধ করে ছুরি দিয়ে লম্বা লম্বা করে নিন। ২. কড়াইয়ে ঘি দিয়ে মুরগির মাংস হালকা করে ভেজে নিন যেন লাল না হয়। ৩. একটি পাত্রে মুরগির মাংস, পেঁয়াজ কুচি, সরিষার তেল, লবণ, ধনেপাতা কুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে মেখে নিন। ৪. এরপর পোলাও বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
কলার মোচার ভর্তা রেসিপি : উপকরণকলার মোচা ২টি, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ২-৩টি, ছোট চিংড়ি মাছ পরিমাণমতো, ঘি ১ চা চামচ। যেভাবে তৈরি করবেন : ১. মোচা থেকে ফুল আলাদা করে ফুলের ভেতর শলাকার মতো সাদা অংশটি ফেলে দিয়ে লবণ-পানিতে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ২. কড়াইয়ে তেল দিয়ে লবণ ও হলুদ দিয়ে চিংড়ি মাছ হালকা করে ভেজে নিন। ৩. মোচার ফুল লবণ, আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে সিদ্ধ করে বেটে নিন। ৪. এরপর কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি হালকা করে ভেজে বাটা ফুলগুলো দিয়ে চিংড়ি মাছ, কাঁচা মরিচ ও লবণ দিয়ে নেড়ে নিন যেন পানি না থাকে। ৫. সবশেষে ঘি দিয়ে নামিয়ে নিন।
বাহারি সবজির ভর্তা রেসিপি : উপকরণআলু ২টি, মিষ্টি কুমড়া আধা কাপ, পটোল ১ কাপ, পেঁপে ১ কাপ, বরবটি ১ কাপ, কাঁচকলা ২টি, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, ধনেপাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ। যেভাবে তৈরি করবেন : ১. সব সবজি চারকোনা করে কেটে নিন। শুধু কাঁচকলা লবণ-পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ২. কাঁচকলা বাদে সব সবজি সামান্য লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সবজির পানি ফেলবেন না। কাঁচকলা আলাদা সিদ্ধ করুন। ৩. এরপর সবজিগুলো একসঙ্গে ভর্তা করে সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে মেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
ছোলার ডালের ভর্তা : উপকরণ যা যা লাগবেছোলার ডাল ১ কাপ তেল ২ টেবিল চামচশুকনা মরিচ ৩টিকালজিরা ১ চা চামচপেঁয়াজ, কুচি ২টিলবণ স্বাদমতো যেভাবে প্রস্তুত করবেন ৩ কাপ পানি দিয়ে ডাল সিদ্ধ করে নিয়ে বেটে আন্দাজ মতো পানি দিয়ে ঘন করে গোলান। তেলে মরিচ ভেজে রেখে তুলে রেখে কালজিরার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ দিয়ে লাল করে ভেজে ডাল ও লবণ দিয়ে নাড়ুন। কয়েকবার ফুটলে দলা বাধার আগেই নামান।
ভিন্ন স্বাদের আলুর ভর্তা : উপকরণ : সেদ্ধ আলু (মাঝারি সাইজের): ৫-৬ টিপেঁয়াজ কুচি: ছোট ২ টিকাঁচামরিচ কুচি: ৬-৭ টিতেল: ৩ টেবিল চামচলবন: পরিমাণ মতজিরা (টেলে গুড়া করা): ১ চা চামচ প্রণালী : সেদ্ধ আলু কে ভালো করে মথে নিন। প্যানে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি আর একটু লবন দিয়ে দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা হয়ে বাদামী আঁকার ধারন করা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।মচমচে ভাব হলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।এবার পেঁয়াজ, মরিচ কে সেদ্ধ আলুর সাথে ভালোভাবে মেশান।একটু জিরার গুড়ো ছড়িয়ে দিন। সাধারন আলুর ভর্তা চেয়ে একটু হলেও ভিন্ন হবে এই আলুর ভর্তা। অন্যরকম একটা ঘ্রান পাবেন ভর্তা থেকে। বাড়তি স্বাদের জন্য একটা ডিম সিদ্ধ করে কুঁচি করে দিতে পারেন। তাহলে আর দেরী কেন, চটজলদি গরম বা পান্তা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের এই আলুর ভর্তা।
মিষ্টি আলুর ভর্তা : মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে নিন। শুকনা মরিচ ভেজে নিন।এবার বাটিতে পেঁয়াজ কুচি, লবন, শুকনা মরিচ আর সরিষার তেল কচলে নিয়ে, ধনে পাতা আর আলু দিয়ে মেখে ভর্তা বানিয়ে নিন।
কচু নারকেল ভর্তা : উপকরণ : কচু কিমা ১ কাপ, নারকেল বাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ভাজা ৩-৪টি, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি অল্প পরিমাণ, লবণ স্বাদমতো। প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে এক টুকরো কচুকে পুড়িয়ে বা সিদ্ধ করে ভালো করে মাখিয়ে কিমা তৈরি করুন। একটি ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি, শুকনা মরিচ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে তাতে কচু কিমা ও নারকেল বাটা দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার পুদিনাপাতা কুচি ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে গরম ভাতে পরিবেশন করুন মুখরোচক কচু নারকেল ভর্তা।
কাঁচা কাঁঠালের ভর্তা : উপকরণ : কাঁচা কাঁঠাল বাটা ১ কাপ, পেঁয়াজের কুচি আধা কাপ, সরিষাবাটা আধা কাপ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, সরিষার তেল পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৩-৪টা, হলুদগুঁড়া সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, চিনি ১ চিমটি, লেবুর রস ১ চা-চামচ ও লেবুর খোসা কুচি করা ১ চা-চামচ। প্রণালি : কাঁঠাল সেদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন, এতে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে কাঁঠাল বাটা দিয়ে নাড়তে হবে। মসলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে গেলে সরিষাবাটা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নাড়তে হবে। প্রয়োজনে হাত-ছিটা পানি দেওয়া যেতে পারে। নাড়তে নাড়তে যখন ভর্তা গোল হয়ে আসবে, তখন চিনি, লেবুর রস ও লেবুর খোসা কুচি দিয়ে দুই মিনিট চুলায় রেখে নামাতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
লাউয়ের বিচি ও টাকি মাছের ভর্তা : উপকরণ: লাউয়ের বিচি ১ কাপ, টাকি মাছ মাঝারি ১টি, কাঁচা মরিচ ৪টি, পেঁয়াজ, দেশি ৪টি, দেশি রসুন ১টি, ধনেপাতা ২টি গাছ, লবণ আধা চা-চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ, সয়াবিন তেল ১ টেবিল-চামচ। প্রণালি: লাউয়ের বিচি ধুয়ে আধা কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। টাকি মাছের মাথা বাদ দিয়ে বাকি অংশ আঁশ ফেলে পেট পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। গরম তেলে মাছ মাঝারিভাবে ভাজতে হবে। মাছ ভাজা অবশিষ্ট তেলে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা ও লবণ দিয়ে টেলে নিন। চুলা থেকে নামানোর আগে সেদ্ধ লাউয়ের বিচি ও কাঁটা ছাড়ানো মাছ মিশিয়ে একটু ভেজে নামিয়ে নিন। ভাজা উপকরণগুলো একত্রে পাটায় মসৃণ করে বেটে ভর্তা পরিবেশন করুন
চ্যাপা শুঁটকির বাগার ভর্তা : উপকরণ: চ্যাপা শুঁটকি ১০টি, দেশি পেঁয়াজ ১০টি, দেশি রসুন ২টি, শুকনা মরিচ ১২টি, সয়াবিন তেল সিকি কাপ, লবণ আধা চা-চামচ। প্রণালি: শুঁটকি ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে মাথা ও আঁশ ছাড়িয়ে পেট পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। শুঁটকির পানি নিংড়ে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পাটায় মসৃণ করে বাটতে হবে। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে বাটা উপকরণগুলো অল্প আঁচে পাঁচ মিনিট নেড়েচেড়ে ভাজতে হবে। তেল ওপরে এলে ভর্তা চুলা থেকে নামিয়ে বাটিতে পরিচ্ছন্নভাবে পরিবেশন করুন।
বেগুন-টমেটো ভর্তা : উপকরণ: বেগুন বড় ১টা, পাকা টমেটো ৪টা, পেঁয়াজ মিহি কুচি আধা কাপা, শুকনা মরিচ ৪টা, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, লবণ ৩-৪ চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ। প্রণালি: বেগুন ধুয়েমুছে একটু তেল মাখিয়ে আগুনে পুড়ে নিন। এরপর খোসা ছাড়িয়ে নিন। টমেটো ধুয়ে পাঁচ মিনিট গরম পানিতে ছেড়ে সেদ্ধ করে নিন। পানি থেকে নামিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। বেগুন ও টমেটো ছোট ছোট টুকরা করে প্যানে চুলায় নেড়েচেড়ে শুকিয়ে নিন। আধা চা-চামচ লবণ ও চিনি দিয়ে শুকাবেন। একটি বাটিতে পেঁয়াজ, মরিচ, ধনেপাতার সঙ্গে স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে মজিয়ে নিন। তারপর বেগুন ও টমেটো একসঙ্গে মিশিয়ে মেখে নিন। সরিষার তেল দিয়ে মাখবেন। খুদের ভাতের সঙ্গে ভর্তা পরিবেশন করুন।
পোস্তাদানা ভর্তা : উপকরণ: পোস্তাদানা আধা কাপ, কালো সরিষা সিকি কাপ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল-চামচ। লবণ পরিমাণমতো, রসুন ২-৩ কোয়া, সরিষার তেল ১ টেবিল-চামচ। প্রণালি: পোস্তাদানা কাঠখোলায় অল্প টেলে নিতে হবে। পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচও কাঠখোলায় টেলে নিতে হবে। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে বেটে নিয়ে সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে ভর্তা করতে হবে।
তিলের ভর্তা : উপকরণ: খোসা ছাড়ানো তিল আধা কাপ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ৪ টেবিল-চামচ, ভাজা শুকনো মরিচ ৪টি, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ, কোরানো নারকেল আধা কাপ। প্রণালি: তিল কাঠখোলায় টেলে সব উপকরণ দিয়ে বেটে নিয়ে মাখিয়ে ভর্তা করতে হবে।
তিশির ভর্তা : উপকরণ: তিশি সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, ভাজা শুকনো মরিচ ৮টি বা পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ৪ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা কুচি ৪ টেবিল-চামচ। প্রণালি: তিশি কাঠখোলায় টেলে বেটে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ভর্তা করতে হবে।
সরিষা বাটায় কাঁচা আমের ভর্তা : উপকরণ : কাঁচা আম পাতলা করে কাটা ৩ কাপ, সরিষা বাটা [সাদা সরিষা] ১/২ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ ১/২ চা চামচ, বিট লবণ ১/২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা ১/৪ কাপ, সরিষার তেল ১/৪ কাপ, গুড় ২ টেবিল চামচ, টক দই [পানি ছাড়া] ১/৪ কাপ। প্রস্তুত প্রণালি : আম ও টক দই ছাড়া উপকরণগুলো ভালো করে হাতে চটকে মেখে নিতে হবে। মাখার পর আম ও টক দই দিয়ে সামান্য মেখে পরিবেশন করতে হবে সুস্বাদু সরষে বাটায় কাঁচা আমের ভর্তা।
শুঁটকি ভর্তা : উপকরণ : শুঁটকি ২৫০ গ্রাম, কলি পেঁয়াজ আধা কাপ, লাল মরিচ ১০টা, রসুন কোয়া ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ। প্রণালী : প্রথমে শুঁটকিটাকে ছোট ছোট করে কাটুন। এবার ১০-১২ বার কুসুম গরম পানি দিয়ে শুঁটকিগুলো ধুয়ে নিন। তারপর চুলায় তেল দিয়ে রসুন দিন। রসুন লাল হয়ে গেলে তুলে রাখুন। শুঁটকি বাদে এক এক করে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভেজে নিন। ভাজা হলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। শুঁটকিসহ সব উপকরণ পাটায় বাটুন। তৈরি হয়ে গেল শুঁটকি ভর্তা।
ডাঁটাশাক ভর্তা : উপকরণ : ডাঁটাশাক ১ কেজি, পিঁয়াজ কুচি আধা কাপ, শুকনা মরিচ ৬/৭টি, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, রসুন ২টি বড়, লবণ পরিমাণ মতো। প্রণালী : ডাঁটাশাক কেটে ধুয়ে কুচি করুন। পাত্রে অল্প তেলে ডাঁটাশাক ভাপ দিন। শাক সেদ্ধ হলে পানি শুকান। এবার অন্য একটি পাত্রে অল্প তেলে পিঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ ভাজুন। এবার ডাঁটাশাক ভাজা, পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ, লবণ দিয়ে পাটায় মিহি করে বাটুন। হয়ে গেল ডাঁটাশাক ভর্তা। টিপস : এই ভর্তা পালংশাক দিয়েও করা যায়।
কাঁঠালের বিচি চিংড়ি ভর্তা : উপকরণ: কাঁঠালের বিচি ১ কাপ, চিংড়ি মাছ ১ কাপ, শুকনা মরিচ ৭-৮টি, রসুন কোয়া ২টি, হলুদ আধা চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে, সরষের তেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ। প্রণালী: কাঁঠালের বিচি ছিলে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ বেছে পরিষ্কার করে হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার বিচি খুব ভালো করে সেদ্ধ করতে হবে। অন্য একটি পাত্রে তেল দিয়ে শুকনা মরিচ ভেজে তুলে ওই তেল রসুন-পেঁয়াজ দিয়ে নরম করে ভেজে চিংড়ি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিতে হবে। এবার বিচি পাটায় বেটে নিয়ে চিংড়ি মাছ ছেঁচে আধা ভাঙা করে তেল-পেঁয়াজসহ সব একসঙ্গে মাখিয়ে ভর্তা তৈরি করতে হবে।
কাঁচকি মুলার ভর্তা : উপকরণ : কাঁচকি মাছ ৫০০ গ্রাম, মুলা কুচি দেড় কাপ, পেঁয়াজ কুচি তিন চা চামচ, শুকনো মরিচ গুঁড়া দুই চা চামচ, ধনেপাতা কুচি দুই চা চামচ, সরিষার তেল দুই চা চামচ, তেল পরিমাণমতো। প্রণালি : প্রথমে একটি পাত্রে তেল গরম করে কাঁচকি মাছগুলো ভালো করে বাদামি রঙ করে ভেজে নিতে হবে। এরপর একটি বাটিতে মুলা ও পেঁয়াজ কুচি, শুকনো মরিচ গুঁড়া ও ভাজা কাঁচকি মাছ সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মাখাতে হবে। একটি পাত্রে সুন্দর করে পরিবেশন করুন কাঁচকি মুলার ভর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।