স্পোর্টস ডেস্ক : সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন নাজমুল হোসেন। ৪৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন শান্ত। চলতি আসরে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথম পঞ্চাশ। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ১১ ম্যাচ পর বাংলাদেশের কোনো ওপেনারের ফিফটি করলেন। শান্ত ৫৫ বলে ৭১ রান করে ফিরেন।
আউট হওয়ার আগে এ ওপেনার খেলেছেন ৭ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৫৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস। যা তার ক্যারিয়ার সেরা।
শান্ত’র ৭১ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ করেছে ৭ উইকেটে ১৫০ রান।
শেষ তিন ওভারে আশারূপ ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ তিন ওভার থেকে এসেছে মাত্র ২৪ রান। শেষ ওভারটি হতাশ করেছে বাংলাদেশি সমর্থকদের।
চার-ছক্কার বদলে সেই ওভারে বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে ৩টি। রান এসেছে মাত্র ৭। যে কারণে সংগ্রহ দেড়শ রানের বেশি যেতে পারেনি বাংলাদেশের।
শুরু থেকে একপ্রান্ত ধরে রেখে দলীয় সংগ্রহ বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন ওপেনার শান্ত। ফিফটির পর ১৬তম ওভারে ১৭ রান নেন শান্ত। তবে পরের ওভারেই তাকে থামিয়ে দিলেন সিকান্দার রাজা।
আজ বল হাতে কোনো কারিশমা দেখাতে না পারা রাজা নিলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ১৭তম ওভারে ছক্কার চেষ্টায় আউট হয়ে যান শান্ত।
শান্ত ফিরে গেলে সেভাবে রানের চাকা সচল রাখতে পারেননি আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন।
শান্তকে আউট করার ওভারে আসে মাত্র ৬ রান। ১৮তম ওভারে আফিফ নিতে পেরেছেন মাত্র ৫ রান।
১৯ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ ফেলে দিয়ে আফিককে জীবন দেন মুজারাবানি। ১৮ রানে জীবন পেয়েছেন তিনি।
ওভারের ৫ম বলে কাঙ্ক্ষিত ছক্কা আসে আফিফের ব্যাট থেকে। সিকান্দার রাজার করা সে ওভারে ১২ রান তুলতে পারে আফিফ-মোসাদ্দেক।
শেষ ওভারে গাভারার দ্বিতীয় ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১০ বলে ৭ রান এসেছে তার কাছ থেকে। পরের বলেই রানআউট হয়ে ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান। মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন তিনি।
শেষ ২ বলের জন্য ব্যাট হাতে নামেন মিরাজের বদলে একাদশে সুযোগ পাওয়া ইয়াসির আলি রাব্বি। তিনি এক রান নিয়ে আফিফকে স্ট্রাইক দেন। শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন আফিফ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।