মঙ্গলে মহাকর্ষ পৃথিবীর মাত্র ৩৮ শতাংশ। এর মানে, অনেকে ভাবেন, ওজন কমে যাবে। লাফ দিলে অনেক দূর ওঠা যাবে! বাহ, ভারী মজা। আসলে বিষয়টা অমন সুখকর নাও হতে পারে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দেখা গেছে, প্রায় জিরো গ্র্যাভিটিতে ক্ষয়ে যেতে পারে হাড় ও পেশী।
এই সমস্যা এড়াতে নিয়মিত প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যায়াম করেন নভোচারীরা। তাতে পেশীর সমস্যা এড়ানো যায় অনেকটা, তবে হাড়ের ক্যালসিয়ামের ক্ষয় রোধ করা যায় না। পৃথিবীতে ফেরার আগে সেরেও ওঠেন না তাঁরা।
মঙ্গলের মহাকর্ষ কেমন আচরণ করবে, তা এখনও সত্যিকার অর্থে আমরা জানি না। তবে জিরো গ্র্যাভিটির মতো আচরণ করলে হাড় দুর্বল হয়ে যাবে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাবে অনেক। ব্যায়াম করেও যে খুব লাভ হবে, তা নয়। তা ছাড়া জিরো গ্র্যাভিটিতে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হয়, ঘুমের সমস্যা হয়।
অনেক নভোচারী ভোগেন ইনসোমনিয়ায়। সবচেয়ে বড় কথা, ০.৩৮জি, মানে পৃথিবীর মহাকর্ষের ৩৮ শতাংশে জীবন-যাপন কেমন হবে, তা আসলে মঙ্গলে নভোচারী পাঠানো ছাড়া সত্যিকার অর্থে বোঝা কঠিন। যত প্রস্তুতি নেওয়াই হোক না কেন, এরকম পরিস্থিতিতে বিপদের ঝুঁকি থাকবেই।
মঙ্গলে যে খাবার-পানি থাকবে না, সে তো জানা কথাই। অক্সিজেনও যে থাকবে না, এ কথাও সম্ভবত সবাই জানেন। সে জন্য অবশ্য নানা উদ্যোগ নিচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। কার্বন ডাই-অক্সাইড ভেঙে মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরির যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে সংস্থাটি।
পার্সিভিয়ারেন্স নামে একটি রোভারে সে জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘দ্য মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপেরিমেন্ট’ বা মক্সি নামে একটি যন্ত্র। এর মাধ্যমে ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল প্রথম মঙ্গলে কার্বন ডাই-অক্সাইড ভেঙে তৈরি করা হয় অক্সিজেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।