জুমবাংলা ডেস্ক: চলতি শীত মৌসুমে শুরু হয়েছে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ওয়াজ মাহফিল। আর এসব মাহফিলে প্রধান আকর্ষণের বস্তুতে পরিণত হয়েছে আড়াই পেঁচের জিলাপির দোকান। মাহফিল আসা লোকজন সেখানে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করুক বা না করুক বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় তাদের হাতে দেখা যায় জিলাপির ব্যাগ।
এদিকে রসালে এ খাদ্য পণ্যটি প্রস্তুতের প্রতিটি সামগ্রীর দাম দ্বিগুণ বাড়ায় বেশি লাভ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এদিকে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে জিলাপির দাম। এক কেজি গুড় আর চিনির জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ আর ১৫০ টাকায়। যা গেলো বছর ছিলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।
জিলাপি কিনতে আসা হাফিজুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ওয়াজ শুনতে এসেছি। ছোট বেলা থেকেই ওয়াজ মাহফিল যাই। তবে জিলাপি খেতে ভুলি না। মেলা কিংবা মাহফিলে গরম গরম জিলাপি খেতে অনেক মজা। নিজে খেয়েও বাড়ির জন্য নিয়ে যাবো।’
স্থানীয় বাসিন্দা করিম উদ্দিন বলেন, ‘বয়স তো আর কম হলো না, মেলা কিংবা মাহফিল ছোট থেকেই দেখে আসছি। মানুষ মাহফিল কম শোনেন, মেলার মতো স্থানেই বেশি সময় দেন। জিলাপি গ্রাম-বাংলার মানুষের একটি প্রিয় খাবার। গ্রাম ছাড়াও শহরেও বর্তমান জিলাপির অনেক কদর আছে।’
জিলাপি ব্যবসায়ী রোকুনুজ্জান বলেন, ‘শীত আসলেই জিলাপির কদর বেড়ে যায়। অত্রঞ্চলে যেখানেই মেলা বা মাহফিল হয় সেখানেই জিলাপিল দোকান বসে। আমি নিজেও জিলাপির দোকান বসাই। ওইসব স্থানে জিলাপির বেচাবিক্রি অনেক ভালো হয়। এই ব্যবসা করে আল্লাহ দিলে খুবি ভালো আছি।’
অপর জিলাপি ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আগের মতো আর ব্যবসা নাই ভাই। জিনিসপাতির দাম বেড়েছে। লাভ আর আগের মতো নেই। চিনি, গুড়, আটাসহ জিলাপি তৈরির সব জিনিসের দাম বেড়েছে। গত বছর ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে জিলাপি বিক্রি করেও লাভ হতো। এখন ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেও তেমন লাভ হয় না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।