সাত মহাদেশের বাইরে জিল্যান্ডিয়া ভূখণ্ডকে অনেকে আলাদা মহাদেশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চোখের সামনে থেকেও এটি অদৃশ্য ছিল। ৩৭৫ বছর ধরে এ মহাদেশ সফলভাবে সনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়নি। এটি প্রাচীন সুপারমহাদেশের অংশ ছিল। বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে ক্রমাগত এ ধরনের ডিসকভারি সম্ভব হয়েছে।
এটির আয়তন এক কোটি ৯০ লাখ বর্গমাইল। এ আয়তন অনেকটাই অস্ট্রেলিয়ার সমান। প্রাচীনকাল থেকেই জিল্যান্ডিয়া ভূখণ্ডের অস্তিত্ব দুনিয়াতে ছিল। কিন্তু এটি তেমন আলোচনায় আসেনি। গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন যে এই ভূখণ্ডের বয়স ১০০ কোটি বছর।
প্রায় পুরো ভূখণ্ড প্রাকৃতিক কারণে পানির নিচে ডুবে যাওয়ার পর এর কিছু দ্বীপ উপরে ভেসে ছিল। এসব দ্বীপের একটি অংশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড। গবেষণা অনুযায়ী ৯৪ শতাংশ রয়েছে পানির নিচে এবং ৬ শতাংশ রয়েছে পানির উপরে।
৩৭৫ বছর আগে এক ডাচ নাবিক এ ভূখন্ড নিয়ে কথা বলেছিলেন। ২০১৭ সালে ভূতত্ত্ববিদরা জিল্যান্ডিয়া আবিষ্কার করে ফেলেন। প্রায় ৫০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এটির আয়তন সমুদ্রের বুকে ছড়িয়ে রয়েছে। পুরো ভূখণ্ড মানচিত্রের অংকন করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এর সিংহভাগ পানির নিচে থাকায় লোক চক্ষুর আড়ালে ছিল জিল্যান্ডিয়া এবং মানচিত্র আঁকা অনেক কঠিন ছিল। নিউ জিল্যান্ডের প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে এ জিল্যান্ডিয়ার পর্বত ও আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ভূতত্ত্ববিদরা ২০ বছর ধরে একটি পুরো মানচিত্র আঁকার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা ছিলেন জিল্যান্ডিয়ার পুরো ইতিহাস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া নিক মর্টিমার উল্লেখ করেছেন যে, অন্যান্য মহাদেশের বিপরীতে জিল্যান্ডিয়ার মাত্র তিনটি অঞ্চল রয়েছে। জিল্যান্ডিয়ার শনাক্তকরণ ভূতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং পৃথিবীর ইতিহাস ও বিবর্তনের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।