জিহ্বাকে অবমূল্যায়ন করার সুযোগ নেই। মানুষের জন্য কথাটা আরও বেশি প্রযোজ্য। স্বাদ গ্রহণের জন্য জিহ্বার বিকল্প নেই। খাবার গিলতেও দরকার। তা ছাড়া এ অঙ্গ ছাড়া কথা বলাও সম্ভব নয়। মানুষ ছাড়া প্রাণিজগতের অন্যান্য প্রাণী কথা না বললেও স্বাদ গ্রহণ ও খাবার গেলার কাজে জিহ্বা ব্যবহার করে। কিছু প্রাণী জিহ্বার সাহায্যে আরও অনেক কাজ করে! কোনো কোনো প্রাণীর জিহ্বা এত বিচিত্র যে প্রাণীটা কী, তা না দেখে শুধু জিহ্বার সাহায্যেই চেনা যায়।
গেকো
গেকো সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী। বিরক্ত হলে এরা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তখন চিৎকার করে। চিৎকার করার সময় মুখের ভেতরের লাল জিহ্বা দেখা যায়। ওদের চিৎকার শুনলে মনে হবে কোনো শিশু চিৎকার করছে। গেকোর চোখের পাতা থাকে না। তাই চোখের ওপরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে ও গন্ধ শনাক্ত করতেও ব্যবহার করে জিব। এদের জিব ৫-৭ সেন্টিমিটার লম্বা হতে পারে। গেকোর বৈজ্ঞানিক নাম Uroplatus phantasticus।
গিরগিটি
এরা তুলনামূলক ধীর গতির প্রাণী। তবে এদের বিশাল লম্বা জিব শিকার ধরতে বেশ কার্যকরী। প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা জিব আছে এদের, শরীরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। জিবের ডগায় থাকে এক ধরনের আঠালো পদার্থ। শিকারের গায়ে এই আঠালো পদার্থ একবার লাগলে তা থেকে বের হওয়া মুশকিল। ঘাসফড়িং, পঙ্গপাল ও অন্যান্য পোকামাকড় ধরে ফেলতে পারে চোখের নিমেষে। ০.০৩ সেকেন্ডে এরা সম্পূর্ণ জিব বের করে শিকার ধরতে পারে। এ সময় জিব বের হওয়ার গতি থাকে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Chamaeleo chamaeleon।
সিংহ
বিড়ালজাতীয় প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী প্রাণী সিংহ। শরীরের পশম সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে এরা জিব ব্যবহার করে। শরীরের ময়লা পরিষ্কার করতেও ব্যবহার করে জিব। এদের জিব এত ধারালো যে পশুর চামড়া ছাড়িয়ে ফেলতে পারে। জিবের ওপর ছোট ছোট কাঁটার মতো থাকে। একে বলে প্যাপিলি। শিকারের মাংস ছিঁড়ে আনতে সাহায্য করে এই প্যাপিলি। সাধারণত ১০-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয় সিংহের জিব। তবে প্রজাতি ও বয়সভেদে জিবের আকার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Panthera leo।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।