জুমবাংলা ডেস্ক : জি কে শামীমের অবৈধ কাজে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় চার দেহরক্ষীর জামিনের বিষয়ে রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে চার মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে( আইওকে) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি জানান, জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জামিন আবেদনকারী আসামিরা হলেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. শামশাদ হোসেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শামীম সরদার।
এর আগে ৩ মার্চ হাইকোর্ট জি কে শামীমের চার দেহরক্ষী কীভাবে, কোন যোগ্যতায় অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন তা জানতে চেয়েছিলেন। একই সঙ্গে তাদের আয়কর রিটার্ন ও অস্ত্র মামলা কেন হয়েছে, সেই সব বিষয়ে হলফনামা মূলে হাইকোর্টে দাখিল করার জন্য তাদের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর পর সোমবার (৯ মার্চ ) হলফনামা আকারে কাগজপত্র দাখিল করেন আদালতে। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি তাদের জামিন কেন প্রদান করা হবে না, সেই মর্মে ১০ দিনের রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করলে তারা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
এজাহারে (জি কে শামীমকে অবৈধ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অবৈধ মাদক এবং জুয়া ব্যবসার ক্যাসিনো অপরাধে সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। আর এই আসামিরা হলেন তার দুষ্কর্মের সহযোগী। তাদেরকে গ্রেফতার করে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করা হয়। মামলা নম্বর ২৯। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পাচারের লক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা দখলে রাখাসহ জি কে শামীমের সকল অপকর্মের সহযোগী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।