শিগগিরিই শুরু হতে যাচ্ছে জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের নিবন্ধন। আগামী ২০-২৭ জুলাই ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত হবে ৩৬তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড। সে উপলক্ষ্যে শুরু হবে বাংলাদেশে জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বাছাই পর্ব।
মোট তিন ক্যাটাগরিতে এটি অনুষ্ঠিত হবে। জুনিয়র (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি), সেকেন্ডারি (৯ম-১০ম, এসএসসি বা সমমান) এবং হায়ার সেকেন্ডারি (৯ম-১০ম, এইচএসসি বা সমমান)।
শুরুতে শিক্ষার্থীদের আঞ্চলিক পর্বের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। আঞ্চলিক পর্ব থেকে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত হবে জাতীয় পর্ব। সেখান থেকে জাতীয় আবাসিক বায়োক্যাম্পে শর্টলিস্টেড হয়ে অনাবাসিক বায়োক্যাম্পে যেতে হবে। এই ক্যাম্প থেকে বাছাই করা হবে আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ দল।
আঞ্চলিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ক্যাটাগরির শ্রেণিসমূহের পাঠ্যবই (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত/ অনুমোদিত) থেকে বিশ্লেষণধর্মী (মুখস্থনির্ভর নয়) বহুনির্বাচনী প্রশ্ন আসে। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি অপশন থাকে, যার প্রতিটি সত্য বা মিথ্যা হিসেবে নির্ধারিত ওএমআর ফর্মে বৃত্ত ভরাট করতে হয়। জাতীয় পর্যায়েও অনুরূপ বৃত্ত ভরাট করার পরীক্ষা হয়। তবে একই সঙ্গে লিখিত পরীক্ষাও হয়।
বহুনির্বাচনী পরীক্ষা ক্যাটাগরির ভিত্তিতে হলেও লিখিত অংশের জন্য সব ক্যাটাগরিতে প্রশ্ন একই হয়ে থাকে। জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় সাধারণত কোনো বই থেকে প্রশ্ন করা হয় না, বিগত ৫-১০ বছরের মধ্যে জীববিজ্ঞানের নানা শাখার বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণাপত্রের ভিত্তিতে প্রবলেম সলভিং জাতীয় প্রশ্ন থাকে।
সেগুলো সঠিকভাবে উত্তর দিতে হলে জীববিজ্ঞানের সাতটি শাখায় (কোষতত্ত্ব ও প্রাণরসায়ন, প্রাণী অঙ্গসংস্থান ও শারীরতত্ত্ব, উদ্ভিদ অঙ্গসংস্থান ও শারীরতত্ত্ব, বংশগতিবিদ্যা ও জৈব অভিব্যক্তি, বাস্তুসংস্থান, প্রাণী আচরণবিদ্যা এবং বায়োসিস্টেমেটিকস ও বায়োইনফর্মেটিকস) মৌলিক জ্ঞান ও ধারণা থাকা আবশ্যক। বায়োক্যাম্পে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক—উভয় প্রকার প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আঞ্চলিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ এবং জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার হিসেবে থাকবে মেডেল, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। সঙ্গে সবাইকে দেওয়া হবে টি-শার্ট। জাতীয় পর্যায়ে মেধার সর্বোচ্চ স্বাক্ষর রেখেছে এমন পাঁচজনকে পাঁচ বাঙালি জীববিজ্ঞানীর নামে প্রণীত আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। বায়োক্যাম্পের বিজয়ীদের মাস্টার ক্যাম্পার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এ ছাড়া সব পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীর জন্য সংশ্লিষ্ট অংশগ্রহণকারী সনদ দেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।