জুমবাংলা ডেস্ক : অসুস্থ স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে আর ঘরে ফিরে আসা হয়নি নিরাপত্তাকর্মী ইমরান খলিফার। তবে লাশ হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। ঘটনার সপ্তাহ পার হলেও শোকের মাতম থামছে না স্ত্রীসহ স্বজনদের। একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে পুরো পরিবারটি ভেঙে পড়েছে।
গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকার শাহজাদপুর বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নিরাপত্তাকর্মী ইমরান।
নিহত ইমরান খলিফা (৩৩) বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কালনা গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য নজরুল খলিফার ছেলে । তিনি গুলশান-২ এর চারুলতা নামে একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে নিহত ইমরানের স্ত্রী শান্তা আক্তার বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে জীবিকার তাগিদে তারা ঢাকায় যান। ২৩ মাস বয়সের ছেলে ইয়াছ খলিফাকে নিয়ে তারা শাহজাদপুর খিল বাড়িটেক নামক স্থানে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। তার স্বামী ইমরান গুলশানের একটি প্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার টাকা বেতনে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি করতেন। ঘটনার দিন আমার (শান্ত) জন্য ওষুধ কিনতে রাস্তায় বের হয়ে ইমরান গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এতে তাদের সব স্বপ্ন এক নিমেষেই শেষ হয়ে গেছে।
নিহতের বাবা নজরুল খলিফা বলেন, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় ইমরানের ফোন থেকে কল করে বলা হয়, ইমরান খুবই অসুস্থ। ইউনাইটেড হাসপাতালে আছে। পরে পুত্রবধূকে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে গিয়ে ইমরানের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায়। গুলি বাঁ পাঁজর দিয়ে ঢুকে ডান পাঁজর দিয়ে নাড়িভুঁড়িসহ বের হয়ে যায়। ইমরানের বাবা বলেন, যারা আমার ছেলেকে নৃশংসভাবে গুলি করে মেরেছে আমি তাদের বিচার চাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।