এতোদিন মেগাবাইট কিনে কিংবা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করেছেন, টাকা খুঁইয়েছেন। ফেসবুক এবার আপনাকে একটি সুসংবাদ জানাচ্ছে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের টাকা দিচ্ছে ফেসবুক। শুনে অবাক হচ্ছেন, হওয়ারই কথা। কিন্তু তথ্যটি সঠিক। তবে ফেসবুকের কাছ থেকে টাক পেতে পূরন করতে হবে কয়েকটি শর্ত।
কি সেই শর্ত? আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি যদি মে ২০০৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সময়কালের মধ্যে খোলা হয়, তাহলেই আপনাকে টাকা দেবে মার্ক জ়াকারবার্গের কোম্পানি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কিছুই করলেন না, কিন্তু ফেসবুক আপনাকে টাকা দেবে? কেন?
আসলে কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ফেসবুককে মামলার নিষ্পত্তি বাবদ ৭২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৫৯৫৯ কোটি টাকা দিতে বলেছে আদালত।সেই চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা শেয়ার হিসেবে কিছু টাকা দাবি করেছেন। এই দাবির পিছনে ইউজারদের যুক্তি, তাঁদের ডেটার দুর্ব্যবহার করেছে ফেসবুক।
২০১৮ সালে একজন হুইসেলব্লোয়ার প্রকাশ করেছিলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা (৮৭ মিলিয়ন) একটি ব্রিটিশ কনসাল্টিং ফার্ম প্রাপ্ত করে এবং তা ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই।
সেই সংস্থারই নাম কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকা। খবরটি প্রকাশিত হতেই সন্দেহ করা হয় যে, টার্গেটেড পলিটিক্যাল ক্যাম্পেইন চালানোর জন্যই ব্যবহারকারীদের ডেটার দুর্ব্যবহার করা হয়। মামলা করা হয় এবং জনরোষ এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, তার জন্য মার্ক জ়াকারবার্গকে মার্কিন কংগ্রেসের সামনে সাক্ষ্য দিতে হয়।
সেখানে তিনি স্বীকারও করে নেন, সংস্থাটি ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।
বছর চারেক পর ক্যালিফর্নিয়ার একজন বিচারক মামলার নিষ্পত্তির প্রাথমিক অনুমোদন দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা একটি ডেডিকেটেড
ওয়েবসাইট ভিজ়িট করে বা সেটেলমেন্টের অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের কাছে ইমেল করে শেয়ার হিসেবে কিছু টাকা দাবি করতে পারেন।
ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে, “প্রতিটি সেটেলমেন্ট ক্লাস মেম্বার একবার একটাই ফাইল দাবি করতে পারবেন।” যেহেতু এই মামলার নিষ্পত্তির জন্য চূড়ান্ত অনুমোদনের শুনানি হওয়ার কথা ৭ সেপ্টেম্বর, তাই ব্যবহারকারীরা ‘আদালতের চূড়ান্ত অনুমোদন’এবং ফেসবুক থেকে ‘যে কোনও আবেদন’-এর নিষ্পত্তি হওয়ার পরই অর্থ পাবেন।
অর্থের দাবি করার শেষ দিনটি হল ২৫ অগস্ট।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কারা এই পরিমাণ অর্থ দাবি করতে পারেন? কেবল মাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেসবুক ব্যবহারকারীরাই অর্থের দাবি করতে পারেন। তাছাড়ও শুধু মার্কিন ফেসবুক ব্যবহারকারী হলেই চলবে না। তার পাশাপাশি যে সব মার্কিন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিশ্বাস করছেন, কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারিতে তাঁদের তথ্যের দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, তাঁরাই অর্থের দাবি করতে পারেন। এবং তার জন্য তাঁদের নাম এবং ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য দিয়ে দিতে হবে। এমনকি, এই সময়কালের মধ্যে যাঁদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা ছিল, অথচ সম্প্রতি তাঁরা ডিলিট করেছেন তাঁরাও এই টাকা পাওয়ার দাবিদার। তাঁদের কেবল প্রমাণ দিতে হবে, ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছিল ২০০৭ সালের মে মাস থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।