স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘদিন চলতে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে-নাটক বোধ হয় শেষ হতে চলেছে। এরই মধ্যে পিএসজিকে ‘না’ বলে দিয়েছেন ফরাসি তারকা। তার মানে এই জুনের পর মুক্ত বিহঙ্গের মতো প্যারিস থেকে উড়াল দেবেন তিনি! নতুন গন্তব্য তো আগেই ঠিক। সেটা রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়া আর কী।
লিভারপুলের নামটা মাঝে শোনা গিয়েছিল। সেটা এমবাপ্পের মায়ের পছন্দের ক্লাব বলেই হয়তো। কিন্তু কিলিয়ানের স্বপ্ন রিয়ালকে ঘিরেই। সেখানে যাবেন, নিজেকে উজাড় করে দেবেন আর টপাটপ শিরোপা হাতে তুলবেন। এমন একটা আশা নিয়েই রিয়ালে এতদিন আসবেন আসবেন করেও আসা হয়নি। এখন নাটাই যে তাঁর হাতেই। কারণ চুক্তি অনুযায়ী এই জুনের শেষ দিনের পরই তিনি যে কোনো ক্লাবে নাম লেখাতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে পিএসজি আইনগতভাবে কিছুই করতে পারবে না।
যদিও এএফপি তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এখনও পিএসজি তাঁর সব শর্তে মেনে নেয়নি। তবে কিলিয়ান যে আর থাকবেন না, সেটা ঠিকই জানিয়ে দিয়েছেন তাদের।
মোনাকোতে দুর্দান্ত খেলছিলেন কিলিয়ান। নামডাক অবশ্য ততটা ছড়ায়নি। সময়টা ২০১৭; নেইমারকে দলে ভিড়িয়েছে পিএসজি। ১৮০ মিলিয়নে এমবাপ্পেকে কেনার কথা-বার্তাও পাকা। কিন্তু আর্থিক নিয়ম-নীতির কারণে তখন এই ফরাসি তরুণকে ধারে প্যারিসে আনে পিএসজি।
২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পিএসজিতে নতুন চুক্তি করেন এমবাপ্পে। সেই চুক্তির একটা শর্ত ছিল এমন, তিনি চাইলে এক বছর বাড়িয়ে ফরাসি ক্লাবে থাকতে পারবেন। কিন্তু এমবাপ্পে যে আশা নিয়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন, সেটি ক্রমেই দুঃস্বপ্ন হয়ে যাচ্ছে। আশাটা হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা। অল্প সময়ে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন এমবাপ্পে। কিন্তু ক্লাবের সেরা ট্রফিটা তাঁর হাতে নেওয়া হয়নি। যে ট্রফির রাজা রিয়াল মাদ্রিদ, সেখানে গেলে যদি এই শূন্যতা পূরণ করতে পারেন তিনি। এখন তাই সেদিকেই নজর কিলিয়ানের।
এর আগে মাদ্রিদে আসবেন বলেও আসেননি। কারণটা হলো তাদের কর্তারা বড় একটা পরিকল্পনা নিয়ে কিলিয়ানের দুয়ারে হাজির হয়েছিলেন। সেটা হলো মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান– এই তিনজন মিলে তাদের স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আনতে পারবেন। কিন্তু সেটাও ভেস্তে গেল। তাই এখন আর চুক্তি নবায়নের কথা না ভেবে নতুন ঠিকানায় যেতেই অপেক্ষা করছেন কিলিয়ান। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার এই নাটকটা শেষ হতেই যাচ্ছে। কারণ এমবাপ্পে জুনের পরই তাঁর নতুন গন্তব্যে পা রাখবেন, যেটা অনেকটাই নিশ্চিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।