অনিল চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জুমবাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কুরুষাফেরুষা খন্দকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি অর্থাৎ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ফুলবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আখতারুল ইসলাম এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হৃদয় কৃষ্ণ বর্মণ ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর বহমানকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার হৃদয় কৃষ্ণ বর্মন জুমবাংলাকে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি অর্থাৎ সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জুমবাংলায় “সরকারি স্কুল মাঠের মাটি কেটে নিলেন প্রধান শিক্ষক” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
প্রকাশিত সংবাদটি কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এর প্রেক্ষিতে গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জেলা শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক জেলা শিক্ষা অফিসারের দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার হৃদয় কৃষ্ণ বর্মন জুমবাংলাকে জানান, আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সরজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গেলে মাঠের মাটি ও গাছের ডাল কেটে নেয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। তাই জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের নির্দেশে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি অর্থাৎ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিলন ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা খন্দকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের নিচু জমির মাটি ভরাট করতে স্কুলের মাঠের মাটি কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও মাঠে অবস্থিত বটগাছের ডালপালা কেটে গাছটি কেটে ফেলার চেষ্টাও করেন বলে অভিযোগ উঠে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার বন্ধের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় ও শনিবার একই সময়ে স্কুলে মাঠের মাটি কাটান প্রধান শিক্ষক। সেই সাথে গাছের ডাল-পালা কাটা এবং গাছের গোড়া থেকে মাটি কেটে নিয়ে নেওয়ায় ওই গাছটি এখন মরণাপন্ন অবস্থার চিত্র পাওয়া যায়।
তার এই কাণ্ডে স্কুলের শিক্ষকসহ অভিভাবকবৃন্দ প্রতিবাদ করেও কোনও ফল হয়নি। ওই প্রধান শিক্ষক তার প্রতাপে ট্রলি দিয়ে কেটে নিয়ে যান স্কুলের মাঠের মাটি। এক ফিটের উপরে মাটি কেটে ফেলায় নিচু হয়ে যায় স্কুলের মাঠ। এছাড়াও গাছের ডালপালা কেটে নেয়ায় টিফিনে বিশ্রাম নেয়ার আশ্রয়টুকুও হারায় শিক্ষার্থীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।