স্পোর্টস ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করা তৃতীয় টেস্টটি জিততে মঙ্গলবার সকালে ভারতের সময় লেগেছে মাত্র ১০ মিনিট। মোহাম্মদ শামীর করা দিনের প্রথম ওভার সামলে নিলেও, অভিষিক্ত স্পিনার শাহবাজ নাদিমের করা দ্বিতীয় ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় ইনিংসের মতো প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসেও শেষ উইকেটটি নিয়েছিলেন নাদিম। নিজের অভিষেক ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি মনে রাখার মতো বোলিংই করেছেন ঝাড়খণ্ডের এ স্পিনার। প্রথম ইনিংসে ১১.৪ ওভারে ২২ রানে ২ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ ওভারে মাত্র ১৮ রানে নেন ২ উইকেট। সবমিলিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন এ অভিষিক্ত ক্রিকেটার।
অথচ শনিবার থেকে শুরু হওয়া ম্যাচের আগেরদিনও স্কোয়াডে ছিলেন না নাদিম। খেলছিলেন ভারতের চলমান বিজয় হাজারে ট্রফিতে। সেখানেরই এক ম্যাচ শেষ করে তিনি শুক্রবার ফেরেন কলকাতায়। তখনই জানতে পারেন তাকে নেয়া হয়েছে স্কোয়াডে এবং পরদিনই অভিষেক হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রাঁচি টেস্টে।
প্রায় ১৫ বছর ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে এমন হুট করেই সুযোগ পেয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। যার আশা করেননি শাহবাজ নিজেও। শুক্রবার দুপুরে তিনি যখন ফোন পেলেন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার, তখন ছিলেন নামাজে। ফলে প্রথমবার ফোন ধরতে পারেননি। তবে পরেরবার ফোন ধরেই পেয়ে যান জীবনের অন্যতম সেরা খবরটি।
এ বিষয়ে জানিয়েছেন শাহবাজ নিজেই। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপে হুটহাট জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আপনি যখন এতদিন ক্রিকেট খেলে ফেলেন, তখন যদি ভোর ৪টায় ফোন করে বলে যে ৬টা বাজে ম্যাচ আছে- তখন আপনি এতেও রাজি হয়ে যাবেন। আমার যখন জাতীয় দল থেকে ফোন এলো, দিনটা ছিলো শুক্রবার, আড়াইটার মতো বাজে তখন। আমি নামাজ পড়ছিলাম। ফোন অনবরত বেজেই যাচ্ছিল। নামাজ শেষ করে ফোন ধরলাম এবং জানতে পারলাম টেস্ট দলে নেয়া হয়েছে আমাকে। পরে কলকাতা থেকে সরাসরি এখানে (রাঁচি)।
এসময় নিজের অভিষেক ম্যাচের অনুভূতির কথাও জানান ৩০ বছর বয়সী এ স্পিনার। অকপটে স্বীকার করে নেন, প্রথম ওভার করতে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে তিন বল করার পরই নিজেকে সামনে নিয়েছিলেন বলে জানান শাহবাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।