পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এতে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা।
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। বিকেল চারটায় শুরুর কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি কয়েক মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছে।
বিটিভির সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের অনেক স্রোত, কিন্তু মোহনা একটি। সেটি হলো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা। সেই স্বপ্ন, প্রত্যাশার স্মারক যতটুকু অর্জিত হয়েছে- জুলাই জাতীয় সনদ সেটির প্রথম পদক্ষেপ।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, এই অগ্রসরমানতায় বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। প্রত্যাশা থাকবে রাজনৈতিক দলগুলো মত ও পথের পার্থক্য থাকা স্বত্ত্বেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এর আগে দুপুরের দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এতে ক্ষুদ্ধ ‘জুলাই যোদ্ধারা’ সংসদ ভবন এলাকা থেকে বের হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়ি, বেশ কয়েকটি ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও ধাওয়া দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।