
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশের মাধ্যমে দেশের সংবিধান সংস্কার ও গণতান্ত্রিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার দিকটি বিশেষভাবে নিশ্চিত হয়েছে। এ বিষয়ে শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
শিশির মনির উল্লেখ করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ফলে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ নিশ্চিত হয়েছে, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করা হয়েছে, উচ্চ কক্ষে প্রজাতন্ত্রভিত্তিক (PR) পদ্ধতি চালু হয়েছে, এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারি করেন। আদেশটি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে আদেশের বিস্তারিত বিষয়বস্তু ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া তুলে ধরেন।
শিশির মনিরের বক্তব্যে আইনগত বিশ্লেষকরা দেখছেন, এটি দেশের সংবিধানিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে সংবিধান সংস্কার ও ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। চারটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে গণভোট। গণভোটের দিন এই চার বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে জনগণ মতামত জানাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



