জুমবাংলা ডেস্ক : নীলফামারী জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। আজ শুক্রবার ঘন কুয়াশার কারণে একবারের জন্যও দেখা যায়নি সূর্য্য। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছে জেলার নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
জেলার সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম জানান, আজ শুক্রবার এখানে সর্বনিন্ম ১১দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় তিন থেকে চার কিলোমিটার। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শাতাংশ। কুয়াশা এবং বাতাসের কারণেই শীত বেশি অনুভুত হচ্ছে।’
তিনি বলেন,‘এ অবস্থা আরো কয়েকদিন চলবে। আগামী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় তাপমাত্রা আরো কমার আশংকা রয়েছে।’
এর আগে গত সোমবার সর্বনিন্ম ১৩ দশমিক ২, মঙ্গলবার ১৩ দশমিক ৮, বুধবার ১২ এবং বৃহস্পতিবার ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা শহরের রিকশা চালক আবু বক্কর ছিদ্দিক (৫৯) বলেন,‘ঠান্ডত হামেরা রাস্তাত রিকশা চালেবার পারেছি না। আয় রোজগার কমার কারণে ঘরম কাপড় কিনিবার পারেছি না। এমন করি ঠান্ডাত হামার খুব কষ্ট হছে’।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শীতে নিন্ম আয়ের মানুষের যবুথবু অবস্থা। অনেকে খড়কুটোয় আগুণ জ¦ালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছেন।
এসময় ইটাখোলা ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়া গ্রামের নমিতা রানী (৭০) বলেন,‘বেজায় ঠান্ডা লাগেছে বাহে। আগুন তাপেয়া দিন-রাইত কাটাছি হামেরা’।
গত ২ জানুয়ারি জেলায় দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর ঝলমলে রোদে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে থাকলেও গত মঙ্গলবার থেকে ফের ঘন কুয়াশা শুরু হয়। শুক্রবার দিনভর একবারের জন্যও কুয়াশা ভেদ করে উকি দিতে পারেনি সূর্য্য।
জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলার ৬ উপজেলায় ৪০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করছে। সরকারিভাবে বরাদ্দের জন্য নতুন করে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।’-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।