জুমবাংলা ডেস্ক: এতদিনে আসি আসি করেও শীত আসেনি। কিন্তু এবার জেঁকে বসেছে শীত। কয়েক দিন ধরে হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের দাপট। শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষজনকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রতিদিন কমছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যা নামতেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন শীতের দাপটে কাহিল হয়ে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে অনেকেই কাজে যোগ দিতে পারছেন না। যত সম্ভব সন্ধ্যার আগেই মানুষজন বাজারের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে দিনমজুর আব্বাস জানান, ঠাণ্ডার কারণে কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সরকার যদি আমাদের একটু সহতায় করত তাহলে ভালো হয়। পঞ্চগড় শহরের খালাড়া মহল্লার বাবু জানান, হঠাৎ করে ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ার কারণে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। মোটা কাপড় পড়েও শীত মানছে না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ গণমাধ্যমকে জানান, আজ সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহরুল ইসলাম জানান, শীত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ২১ হাজার ৬০০ কম্বল জেলার পাঁচ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও আট লাখ টাকার কম্বল কেনা হয়েছে। তিনি শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র দান করার জন্য সমাজের বিত্তবান ও ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে তাপমাত্রা, যেদিন থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।