শেয়ার মার্কেটে জেড ক্যাটাগরি বলতে নিম্নমানের শেয়ারকে বোঝানো হয়। এই নিম্নমানের শেয়ার বেড়ে গেছে রেকর্ড পরিমাণ। বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেজে ৩৯৫টি কোম্পানি তালিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অবাক করার বিষয় হচ্ছে এর মধ্যে দুর্বল কোম্পানি হচ্ছে ৯৫ টি।
মানে ৯৫ টি কোম্পানি জেড ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত। ২০২৫ সালের বর্তমান মাস এবং আগের মাসে ১৭ টি কোম্পানি জেড শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর ফলে যেসব বিনিয়োগকারী অলরেডি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। নিম্নমানের কোম্পানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এ সমস্ত কোম্পানি সময় মত লভ্যাংশ দিতে পারে না। যারা বিনিয়োগ করেছিল তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোম্পানি অপরাধ করে কিন্তু এর শাস্তি পাচ্ছে বিনয়কারীরা।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, ‘ যদি কোম্পানিগুলো ডেভিডেন্টটা সময় মতো না দেয় তাহলে কোম্পানিকে ডেকে শাস্তি দেওয়া উচিত। সেটা না করায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কোম্পানির যারা পরিচালক, মালিক আছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় তারা একই কাজ দিনের পর দিন করে যাচ্ছেন।’বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তালিকাভূক্ত কোম্পানিগুলো আইনের পরিপালন না করায় এর দায় পরিচালনা পর্ষদকে নিতে হবে।
ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের সিইও কাওসার আল মামুন বলেন, ‘হঠাৎ করে আমার বিনিয়োগ জেড গ্রুপে চলে আসলো, মার্কেটে ব্যাপক বিক্রির প্রেসার চলে আসলো, আমার বিনিয়োগ অর্ধেক হয়ে গেল। তাহলে এই বিনিয়োগকারীরা তাদের ক্ষতি কি কখনো সামাল দিতে পারবে? না, তাহলে সরকারের পরিস্থিতির কারণে অর্থাৎ সরকারের রেগুলেটরি পলিসির কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে এবং জেড ক্যাটাগরি ইস্যুতে পুঁজিবাজারে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রস্তাবনার অপেক্ষায় বিনিয়োগকারী সহ সংশ্লিষ্টারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।