লাইফস্টাইল ডেস্ক: সামনে আসছে কোরবানির ঈদ বা মাংস খাওয়ার মৌসুম। আর এমন মৌসুমে না চাইলেও আপনাকে মাংস ভোজ করতেই হয়! তখন প্রায় বাড়িতেই মাংসের পদ ছাড়া অন্য কিছু রান্নাও হয় কম।
আর তাই ছুটির দিনে আজ দেখে নিন কম তেল ও মসলা ব্যবহার করে অনেকগুলো বাঙালি খাবারের পদ। আর এ পদগুলো কম সময়ে নিজ হাতে এবং খুব সহজেই রাঁধতে পারবেন আপনিও।
তো এবার দেখে নিন রেসিপিগুলো-
(১) টক বরই দিয়ে লালশাক
উপকরণ: লালশাক ১ মুঠো, শর্ষে তেল ১ চা–চামচ, মাঝারি পেঁয়াজকুচি ১টি, ৩ কোয়া রসুনকুচি, কাঁচা মরিচ ২টি, টক বরই বা টোপা বরই ৮টি ও লবণ প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: প্রথমে লালশাক কুচি করে কেটে নিন। ৩ মিনিট ভাপে দিন। আর টোপা বরই পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ৫ মিনিট। এরপর তেলে পেঁয়াজ ও রসুনকুচি লাল করে ভেজে তাতে ভাপানো লালশাক দিয়ে নাড়াচাড়া করে বরই ও লবণ দিয়ে হালকা সেদ্ধ করে তুলে নিতে হবে।
(২) আলু–টমেটো ভর্তা
উপকরণ: টমেটো পোড়া ৪টি, ছোট লাল আলু পোড়া ২–৩টি, রসুন পোড়া ২ কোয়া, কাঁচা মরিচ পোড়া ১টি, পেঁয়াজকুচি (গোল করে) ১টি ও শর্ষে তেল ২ ফোঁটা।
প্রণালী: প্রথমে টমেটো, আলু, রসুন ও কাঁচা মরিচ পুড়ে বেটে নিতে হবে। এরপর পেঁয়াজকুচি ও শর্ষে তেল দিয়ে হাতে মেখে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে যাবে আলু–টমেটো ভর্তা।
(৩) করলা–মুগডাল
উপকরণ: কাঁচা মুগডাল সিকি কাপ, ঘি ও শর্ষের তেল ১ চা–চামচ, আদাবাটা ১ চা–চামচ, গোটা জিরা, মোটা করে কাটা মাঝারি আকারের করলা ১টি, ধনেপাতা প্রয়োজনমতো, হিং সিকি চা–চামচ, কাঁচা মরিচ ২–৩টি, পানি ৩ কাপ, লবণ প্রয়োজনমতো ও কাঁচা মরিচ ৪টি।
প্রণালী: প্রথমেই কাঁচা মুগডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে ও করলার বিচি ফেলে একটু মোটা আকারে গোল গোল করে কেটে নিন। এরপর তেলে কাঁচা মরিচ, হিং ও জিরা ফোড়ন দিয়ে কাঁচা মুগডাল ঢেলে দিয়ে নাড়াচাড়া করে আদাবাটা, লবণ ও পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ডাল ফুটে আধা সেদ্ধ হলে তাতে চাক করে কাটা করলা দিয়ে দিন। সেদ্ধ হয়ে থকথকে হলে কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা ছিটিয়ে তুলে ফেলতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন, যেন করলার সবুজ রং পরিবর্তন না হয়।
(৪) লাউ দিয়ে চিংড়ি
উপকরণ: মাঝারি লাউ ১টি, মাঝারি আকারের চিংড়ি খোসাসহ ১২টি, কুমড়ো বড়ি ১০টি, মাঝারি আকারের পেঁয়াজ ১টি, রসুন ৪ কোয়া, কাঁচা মরিচ ২–৩টি, আদাবাটা আধা চা–চামচ, জিরাবাটা আধা চা–চামচ, আধা চা–চামচ মেথিবাটা বা গুঁড়া, হলুদ ১ চিমটি, ১ চামচ তেল (অর্ধেক শর্ষে তেল ও অর্ধেক ঘি) ও পানি ২ কাপ।
প্রণালী: প্রথমে লাউ কেটে ৫ মিনিট ভাপে দিয়ে নিতে হবে। এরপর ১ চামচ তেলে রসুন ও পেঁয়াজ হালকা ভেজে লবণ, হলুদ, আদাবাটা, জিরাবাটা ও মেথিবাটা দিয়ে মাখানো চিংড়িগুলো নাড়া দিন। এবার ভাপা লাউ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পরে আগে টেলে রাখা কুমড়ো বড়ি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করতে হবে।
(৫) শজনেপাতায় টাটকিনি মাছ
উপকরণ: টাটকিনি মাছ ১০টি, মাঝারি পেঁয়াজকুচি ৪টি, কাঁচা মরিচ ৪ ভাগ করা অর্ধেক কাপ, শজনেপাতা ১ কাপ, ধনেপাতা অর্ধেক কাপ, হলুদ ১ চিমটি, শর্ষে তেল ২ চা–চামচ, লবণ প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: মাছ ধুয়ে লবণ দিয়ে ১০ মিনিট মেখে রাখতে হবে। এবার শজনেপাতা, পেঁয়াজ, লবণ, হলুদ শর্ষে তেলে আলতো হাতে ৫ মিনিট মেখে নিতে হবে। যখন তেল পুরোপুরি হাতে চলে আসবে, তখন পানি দিয়ে চুলায় বসাতে হবে। এবার এটি ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মাছ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে জ্বাল কমিয়ে। এরপর ঢাকনা তুলে চারপাশে একটু লাল ভাজা পেঁয়াজ, মনে হলে ধনেপাতা ছিটিয়ে কোনো নাড়া না দিয়ে একটু ঠান্ডা হলে পরিবেশন করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।