জুমবাংলা ডেস্ক : যার যতটুকু জমি তার মালিক তো তিনিই। এই মালিকানার ভিত্তিতে পৃথিবী নামক গ্রহটির মালিকানা যে সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে তার একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রণীত ভূমি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ১০১টি নাম। যাদেরকেই মূলত এখন এই পৃথিবী নামক গ্রহটির মালিক বলা চলে। এদের হাতে সব মিলিয়ে ২৫.২৭ বিলিয়ন হেক্টর জমির মালিকানা। যার সবটুকুই ব্যক্তি মালিকানায়। এবং গোটা ধরিত্রীর ৫১.০১ বিলিয়ন হেক্টর জমির ঠিক অর্ধেক।
এতে বলা চলে দেশে দেশে সরকারের মালিকানায় থাকা অংশটুকু বাদ দিলে এরাই হচ্ছেন এই ধরিত্রীর মালিক। আসুন চিনে নিন ধরিত্রীর এই ১০১ মালিক-মালকিনদের।
১০১. রিচার্ড স্কট, ডিউক অব বাকলুচ অ্যান্ড কুইন্সবেরি: ৯৭,০০০ হেক্টর
ইনি ইউরোপের সর্ববৃহৎ ভু-স্বামীদের একজন। বাকলুচ ও কুইন্সবেরির এই ডিউকের মালিকানায় ভূমির পরিমান ৯৭,০০০ হেক্টর। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নর্দানটমশায়ার এর বাউটন ইস্টেট। একটি হিসেবে দেখানো হয়েছে যুক্তরাজ্যের মোট ভূমি এলাকার এক তৃতীয়াংশই অভিজাতদের দখলে।
১০০. শ্যারন সিরিভাধানাভকদি, ১০২,০০০ হেক্টর
থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ভূ-স্বামী শ্যারন সিরিভাধানাভকদি। তার মালিকানায় রয়েছে এক লাখ ২ হজার হেক্টর জমি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্রেফ রিয়েলস্টেট ব্যবসা দিয়ে এই জমিজমা নিজের করে নিয়েছেন শ্যারন। কেবল থাইল্যান্ডেই নয়, ভূমির মালিকানা তিনি বাড়িয়েছেন পাশের দেশ সিঙ্গাপুরেও। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপেও তার রয়েছেন জমিজমা।
৯৯. অস্ট্রাপ পরিবার ১৩০,০০০ হেক্টর
নরওয়ের অস্ট্রাপ পরিবারের হাতে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমির মালিকানা। তাদের মালিকানাধী মিরাকার ব্রাগ নামের কোম্পানির অধীনে নিয়ন্ত্রিত হয় এই বিশাল সম্পত্তি। যার মধ্যে রয়েছে উৎপাদনশীল বিপুল বনাঞ্চল আর বনজ সম্পদের ভাণ্ডার।
৯৮. তৃতীয় মেলোনি মিচেল: ১৩৬,০০০ হেক্টর
তৃতীয় মেলোনি মিচেলকে সবাই বিলিয়নিয়ার বলেই চেনে। প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন ও বিক্রি দিয়ে সে অর্থ কামাই করেছেন। তার মালিকানায় রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্র। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বিশাল লংফেলো র্যাঞ্চের মালিকও তিনি। সবমিলিয়ে তার মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার হেক্টর ভূমি।
৯৭ কিন পরিবার: ১৪০,০০০ হেক্টর
চতূর্থ প্রজন্মের র্যাঞ্চার পরিবার এটি। জেন কিন ও তার স্ক্রী তানিয়া এখন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সান ও নিউ মেক্সিকোর বেশ কয়েকটি র্যাঞ্চের মালিক। অতি সম্প্রতি তারা বিজনেস টাইকুন বব ফাঙ্কের কাছ থেকে নিউজ মেক্সিকোয় ৬৭ হাজার হেক্টর জমির একটি র্যাঞ্চ কিনে নিয়েছেন।
৯৬. হাগস পরিবার: ১৫৮,০০০ হেক্টর
টেক্সাসের আরেক ধনাঢ্য ড্যান অ্যালেন হাগস সিনিয়র। ২০১৬ সালে তার মৃত্যু হয়। তবে তার আগেই এক বিলিয়ন ডলারের সৌভাগ্য তিনি নিশ্চিত করে গেছেন পরিবারের জন্য। প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল তার আয়ের অন্যতম যোগানদাতা। এছাড়াও পরিবারের মালিকানায় রয়েছে লোন স্টার রাজ্যের একটি র্যাঞ্চ। যা এখন তার ছেলে ড্যান অ্যানেন হাগস জুনিয়রের মালিকানায়। যার মোট জমির পরিমান ১ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর।
৯৫. হোল্ডিং পরিবার: ১৬০,০০০ হেক্টর
পরিবারের প্রয়াত পূর্বপুরুষ রবার্ট আর্ল হোল্ডিংয়ে আগ্রহ ছিলো পরিবহন, জ্বালানি আর হোটেল ব্যবসায়। তা থেকে আয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ, ইদাহো, মন্টানা আর অয়োমিং স্টেটে তিনি কিনতে থাকেন একের পর এক ভূমি-অঞ্চল। যা এক পর্যায়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৬০ হাজার হেক্টরে। তার সেই মাল্টি-মিলিয়ন ডলারের সম্পদ ও ব্যবসা এখন পরিচালিত হচ্ছে স্ত্রী ক্যারল ও তিন সন্তানের হাতে।
৯৪. অঙ্গাস পরিবার: ১৬২,০০০ হেক্টর
দুই কিষাণ কিষাণি জন ও ক্লোভা অঙ্গাস ১৯৬০ সালে স্রেফ পশুপালন খামার তৈরি করে যাত্রা শুরু করেন। অঙ্গাস পশু প্রজনন একসময় সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। আর তারা গড়ে তোলেন অঙ্গাস প্যাস্ট্রোল কম্পানি। যার মালিকানায় এখন রয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর তৃণভূমি। কুইন্সল্যান্ডের এই বিপুল সম্পদের মালিকানা এখন অঙ্গাস দম্পতির সন্তান ও নাতি-নাতনিদের হাতে পরিচালিত হচ্ছে।
৯৩. জেফ বেজোস: ১৭০.০০০ হেক্টর
অ্যামাজন বস জেফ বেজোস যে ইন্টারনেট টাইকুনই কেবল নন, একজন ভূ-স্বামীও। পশ্চিম টেক্সাসে তার ১ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমির মালিকানা। ২০১৮ সালের ভুমি প্রতিবেদনে তার নাম উঠে এসেছে। বেজোসের ব্লু অরিজিন অ্যারোস্পেস কোম্পানি এই জমির দখলে রয়েছে। মহাকাশের কোনও অভিযান, উৎক্ষেপন কিংবা পরীক্ষার জন্য এই ভূমির ব্যবহার চলে।
৯২. ড্রুমন্ড পরিবার: ১৭৫,০০০ হেক্টর
স্কটিশ ইমিগ্রান্ট ফ্রেডরিক ড্রুমন্ড যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় তার এই বিপুল ভাগ্য গড়েছেন। সেখানে তার গবাদি পশু পালনের বিশাল র্যাঞ্চ গড়ে ওঠে ঊনবিংশ শতকের শেষভাগেই। তার তিন পুত্র সে র্যাঞ্চের পরিধি বাড়াতে থাকে। আর এখন ওকলাহোমা ও ক্যানসাসে তাদের মালিকানায় মোট ভূমির পরিমান ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর।
৯১. ফিলিপ অনচুজ: ১৭৬,০০০ হেক্টর
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যে বিলিয়নিয়র বিনিয়োগকারী ফিলিক অনচুজের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর জমি। ২০১৮ সালের ভূমি প্রতিবেদনে তার নাম উঠে আসে। অনচুস ১৯৭০ এর দশনের তেল-সম্মৃদ্ধ ভূমি-অঞ্চল কিনতে শুরু করেন। এবং ধীরে ধীরে তার বাণিজ্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন এবং আরও পরে উইন্ড ফার্মে বিস্তার পায়। বর্তমানে উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় উইন্ড ফার্মটি তার মালিকানায়।
৯০. ফিশার পরিবার: ১৭৮,০০০ হেক্টর
গ্যাপ এর প্রতিষ্ঠাতা ডরিস ফিশার ও তার প্রয়াত স্বামী ডোনাল্ড ১৯৭০ ও ৮০ দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় হাজার হাজার হেক্টর জমির মালিকানা নিতে শুরু করেন। আর ডরিস ও তার সন্তানের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ভাগ্য গড়েছেন আর পাশাপাশি জমির পরিমান বাড়িয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার হেক্টরে। বর্তমানে তারা রাজ্যে একটি বিশালাকায় টেকসই বনায়নের ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
৮৯. সিমপ্লট পরিবার: ১৭৯,০০০ হেক্টর
পটেটো টাইকুন নামে পরিচিত জন রিচার্ড সিমপ্লট মারা যান ২০০৮ সালে। তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিপুলকায় এক সবজি খামার। সেই ১৯২৯ সালে। ১৯৭০’র দশকের দেশ জুড়ে ম্যাগডোনাল্ডসগুলোতে হিমায়িত ফ্রেঞ্চফ্রাইজ সরবরাহ করে ভাগ্য গড়েন বিলিয়ন ডলারের। এখন সিমপ্লটের ছেলে মেয়ে আর নাতি নাতনীরা গোটা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে বড় বড় র্যাঞ্চের মালিক। যার মোট ভূমির পরিমান ১ লাখ ৭৯ হাজার হেক্টর।
৮৮. ম্যাকডোনাল্ড পরিবার: ১৯২,০০০
বুড়ো ম্যাকডোনাল্ডের একটা ফার্ম দিয়ে শুরু। এরপর তা বাড়তে থাকে। আর অ্যালাবামার মাউন্টেন ব্রুক থেকে আসা ম্যাকডোনাল্ড পরিবার ধীরে ধীরে তাদের ভূমির পরিবান বাড়াতে থাকে অ্যালাবামা থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত। তবে তাদের মূল ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের মেইনে রাজ্যে।
৮৭. ফাম নাত ভু: ২০০,০০০ হেক্টর
ফাম নাত ভু হচ্ছেন ভিয়েতনামের সবচেয়ে ধনী ও একমাত্র বিলিয়নিয়ার, মিডিয়া বসের ভাই। তবে নিজ দেশে নয় ভাগ্য গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে গরুর মাংসের বিশাল শিল্প গড়ে তোলেন তিনি। ২০১৬ সালে তিনি কিনে নেন উত্তর টেরিটরির ভারমেলা স্টেশন। দাম পড়ে ১৪ মিলিয়ন ডলার। তার মালিকানায় এখন রয়েছে ২ লাখ হেক্টর জমি।
৮৬ ডোনাল্ড হরটন: ২ লাখ ৪ হাজার হেক্টর
যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ গৃহনির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি আর হরটন প্রতিষ্ঠা করেন এই ডোনাল্ড হরটন। সে ৩৫ বছর আগের কথা। এরপর বছরে বছরে বাড়ে তার সহায় সম্পত্তি। দক্ষিণ-পশ্চিত যুক্তরাষ্ট্রে তার মালিকানায় এখন রয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমি।
৮৫. ওয়েস্টারভেল্ট পরিবার: ২১০,০০০ হেক্টর
১৩৫ বছর ধরে এই পরিবার ওয়েস্টারভেল্ট কোম্পানির মালিক। ১৮৮৪ সালে এই ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন হার্ভার্ট ওয়েস্টারভেল্ট। এটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানসারির রিসোর্স সংস্থা আর এর জমির পরিমান দুই লাখ ১০ হাজার হেক্টর। যা দেশটির পাঁচটি রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে।
৮৪. হল্যান্ড এম ওয়ার: ২১৬,০০০ হেক্টর
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় তার রয়েছে দুই লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমি। জর্জিয়ার হল্যান্ড এম ওয়্যার এখন ৮১ তে পড়েছেন। সম্প্রতি তার আয়ের একটা বড় অংশ দাতব্য ফাউন্ডেশনে দান করেছেন, যার মাধ্যমে চলছে ক্যান্সারের চিকিৎসা আর সংরক্ষিত হচ্ছে পশু-পাখির অধিকার।
৮৩. স্টিমসন পরিবার: ২২৩,০০০ হেক্টর
এরা অল্প দিনের ধনি নয়। স্টিমসন পরিবার স্টিমসন লামবার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে গৃহযুদ্ধেরও আগে। আর এখন মন্টানা, ওরেগন আর ইদাহোর বিপুল বনাঞ্চল এখন তাদের মালিকানায়।
৮২. বেল পরিবার: ২২৫,০০০ হেক্টর
অস্ট্রেলিয়া দেশ হিসেবে বিশ্বের ৬ষ্ঠ বৃহৎ। সুতরাং এর কেউ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভূ-স্বামীদের একজন হবে তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। অস্ট্রেলিয়ার বেল পরিবার দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলসে ২ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমির মালিক। অস্ট্রেলিয়ার খাদ্য ও কৃষিতে এই পরিবারের বড় একটা অবদান রয়েছে। ১৯৭০ এর দশক থেকে তাদের পসার বাড়ছে আর বাড়ছেই।
৮১. মার্টিন পরিবার: ২৩১,০০০ হেক্টর
রয় ও. মার্টিন জুনিয়র তার বাবার কাঠের ব্যবসাটা এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু তৃতীয় রয় ও. মার্টিন সে ব্যবসাকে এতদূরে নিয়ে যান যে তাদের ভূ-সম্পদের পরিমানই দাঁড়ায় ২ লাখ ৩১ হাজার হেক্টর। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে এই বিশাল ভূ-সম্পত্তি এখন মার্টিন পরিবারের মালিকানায়।
৮০. থমাস পেটারফি: ২৩৫,০০০ হেক্টর
ইন্টার্যাক্টিভ ব্রোকারস নামে ইলেক্ট্রনিক্স মালপত্রের একটি দালালি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন থমাস পেটারফি। আর সেই ব্যবসা থেকে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ভূ-স্বামীদের একজন। কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, গোটা বিশ্বেই তিনি ৮০তম বৃহৎ ভূ-স্বামী। হাঙ্গেরি বংশোদ্ভুত এই আমেরিকানের এখন উত্তর ফ্লোরিডায় রয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর জমি।
৭৯. ফোর্ড পরিবার ২৩৫,০০০ হেক্টর
পূর্ব পুরুষ ক্যানেথ ফোর্ড ১৯৩৬ সালে ওরেগনের রোজবুর্গে ছোট্ট একটি স-মিল দিয়ে ব্যবসায় যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ফোর্ডের উত্তরাধিকাররা এখন ২ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর জমির মালিক। পশ্চিম ওরেগন ও উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় তাদের এই বিশাল ভূমি-অঞ্চল।
৭৮. ও’ কোনোর পরিবার: ২৩৮,০০০ হেক্টর
১৮৩৪ সালে পূর্ব-পুরুষ থমাস ও’ কোনোর ১ হাজার ১৯২ হেক্টর জমি বরাদ্দ পেয়েছিলেন। টেক্সাসের ভিক্টোরিয়া কাউন্টিতে। সেখান থেকেই শুরু। আয়ারল্যান্ড থেকে অভিবাসন নিয়ে আসা পরিবারটি ধীরে ধীরে তাদের সম্পত্তির বিস্তার ঘটাতে থাকে যা এখন ২ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।
৭৭. হ্যামার পরিবার: ২৪৩,০০০ হেক্টর
পাঁচ প্রজন্ম ধরে ধনিক পরিবার এই হ্যামারেরা। এখন স্টেফান হ্যামার ও তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় মোট ২ লাখ ৪৩ হাজার হেক্টর জমির মালিক। ১৯০০ দশকের দিকে হ্যামার পরিবার বনাঞ্চলের মালিকানা নিয়ে কাঠ ও স-মিলের ব্যবসা শুরু করে। আর এখন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ভূ-স্বামী পরিবারের একটি।
৭৬. লাইকেস পরিবার: ২৪৫,০০০ হেক্টর
১৮৭০ সালে ড. হলওয়েল লাইকেস তার মেডিকেল সার্জারির প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়ে ফ্লোরিডায় গিয়ে বসতি গড়েন। সেখানে ২০২ হেক্টরের একটি র্যাঞ্চ কিনে পরিবারটির যাত্রা শুরু। এখন ওই চিকিৎসকের উত্তরাধিকাররা ২ লাখ ৪৫ হেক্টর জমির মালিক। টেক্সাস ও সানসাইন স্টেটে তাদের মালিকাধীন ওই জমির পরিমান গোটা লুক্সেমবুর্গের সমান।
৭৫. হাগ গ্রোসভেনর, ওয়েস্ট মিন্সটারের ২ম ডিউক: ২৫৫,০০০ হেক্টর
৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিটি হচ্ছেন এই হাগ গ্রোসভেনর। ২০১৬ সালে বাবা জেরাল্ড গোসভেনরের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি বিপুলাকায় গ্রোসভেন ইস্টেটের মালিক হন। কেবল এখান থেকেই এই ২৮ বছরের বিলয়নিয়ার পান ৫৭,০০০ হেক্টর জমির মালিকানা। যুক্তরাজ্যের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার তার মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার হেক্টর জমি।
৭৪. ব্রিসকো পরিবার: ২৫৬,০০০ হেক্টর
টেক্সান রাজকীয় পরিবার এই ব্রিসকোরা। লোন স্টার স্টেটের জন্য পরিবারটির রয়েছে ঐতিহাসিক ভূমিকা। এখন তাদের উত্তরাধিকাররা উত্তর টেক্সাসের বিপুল ভূমি অঞ্চলের মালিক। যার পরিবার ২ লাখ ৫৬ হেক্টর বলে সবশেষ ভূমি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৭৩. যিশু খ্রীষ্টের গির্জা: ২৭১,০০০ হেক্টর
অন্য অনেক ধর্মীয় গোষ্ঠীর মতো চার্চ অব জেসাস ক্রাইস্ট অব ল্যাটার-ডি সেইন্টস’র মালিকানায়ও রয়েছে বিশাল ভূমি অঞ্চল। যুক্তরাষ্ট্রে মোরমোনদের এই গির্জার মালিকানাধীন জমির পরিমান ২ লাখ ৭১ হাজার হেক্টর। রয়টার্সের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন মতে, ফ্লোরিডায় ব্যক্তি মালিকানায় এদেরই রয়েছে সবচেয়ে বেশি জমি।
৭২. উইকস ভ্রাতৃদ্বয়: ২৮৪,০০০ হেক্টর
একসময় ইটের ভাটার মালিক ছিলেন ড্যান ও ফ্যারিস উইকস ভ্রাতৃদ্বয়। পের ২০০০ এর দশকে তারা একটা বড় অংক বিনিয়োগ করেন জমি কেনায়। যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা, ইদাহো, টেক্সাস, ওরেগন ও টেনেসিসে এই দুই ভাইয়ের মালিকানায় এখন ২ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জমি। সূত্র : সারা বাংলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।