জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বাইরে লবিস্ট নিয়োগের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও বিভিন্ন শিল্প-সাহিত্যের আয়োজনকেও আওয়ামী লীগ রাজনীতিকরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা লিট ফেস্টের প্রতিষ্ঠাতা আহসান আকবার। তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে ঢাকা লিট ফেস্ট ছিনিয়ে নেয় জেমকন গ্রুপ।
রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি। আহসান আকবরের দাবি, প্রতিবাদ করায় যুক্তরাজ্যেও তাকে আইনি হেনস্তা করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারে সময়, সংস্কৃতি, সংবাদ, ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক অপব্যবহারের প্রমাণ তুলে ধরতে ‘সফট পাওয়ার, হার্ড অ্যাবিউজ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দ্যা ফিউচার ফোরাম।
এতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত যুক্তরাজ্যের নাগরিক, ব্যবসায়ী ও লেখক আহসান আকবারের অভিযোগ করেন, অর্থপাচারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের জন্য আন্তর্জাতিক লবি নিয়োগে সহায়তা করেন জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী আনিস। তার শুরু করা ঢাকা লিট ফেস্টও ছিনিয়ে ইসলামবিরোধী, ইসরাইলপন্থী ও আওয়ামী বয়ানের অংশ বানানো হয়।
আহসান আকবার বলেন, ‘বাংলাদেশি টাকায় আড়াই কোটি টাকা। আড়াই কোটি টাকা তারা বিদেশে আমার বিরুদ্ধে খরচ করেছে, আমাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য। এখানে তাদের ঢাকা ট্রিবিউনের ডেস্ক ইনক্যুয়েরি, আপনারা চাইলে কথাও বলতে পারেন, তারা এখনও বেতন পায়নি। তাদের বকেয়া এখনও দেওয়া হয়নি। আমার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হলো আমি যাতে কোনো কথা বলতে না পারি। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কাজী আনিস আমাকে থ্রেড দিলো, তুমি ঢাকায় আসো তোমাকে র্যাব দিয়ে তুলে নেবো।’
দেশের মানুষের টাকায় গঠিত সিআরআই নানা গুজব ও বিদেশে প্রপাগান্ডা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় বলে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
রাজনীতি ও যোগাযোগ বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার বলেন, ‘এই ন্যারেটিভটাকে কি করে আমাদের মার্কেটে ঢোকানো হয়েছিল, এখানকার লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের বাদ দিয়ে দলীয় বুদ্ধিজীবী, দলীয় লেখক, দলীয় সাহিত্যিকদেরকে প্রচারণা করানো হয়েছিল। আমরা কাজী পরিবার বা জেমকনকে একটা ক্লাসিক্যাল কেস হিসেবে পেয়েছি। সিআরআই বলে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই প্রতিষ্ঠান অধ্যাপক ইউনূসকে বিষোদগার করার জন্য রাষ্ট্রীয় অর্থ খরচ করেছে।’
এ সময় কাজী গ্রুপের মালিকানাধীন ইউল্যাবের ট্রাস্টিবোর্ড পুনঃগঠনের আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।