জুমবাংলা ডেস্ক : টানা চার মাস কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন করোনায় লকডাউনের কারণে ভারতের দিল্লিতে আটকেপড়া তাবলিগ জামাতের ৮ নারীসহ ১৭ বাংলাদেশি সদস্য। রবিবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এর আগে ৭ আগস্ট রাতে হস্তান্তর করা হয় আরো ১৪ জন বাংলাদেশিকে। ফেরত আসা তাবলিগ সদস্যদের বাড়ি ঢাকার মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য যশোরের ঝিকরগাছার গাজীর দরগাহ প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬৫ জন তাবলীগ জামাতের সদস্য পাসপোর্ট যোগে ভারতের দিল্লীর নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদে তাবলীগ জামাতের একটি ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেন। নিজামুদ্দিন মারকাজে অবস্থানরতদের অনেকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মওলানা সাদসহ তাবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগে মামলাও হয়। ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশিসহ তাবলীগ জামাতের বিপুল সংখ্যক সদস্যকে আটক করে কারাগারে পাঠায় ভারতীয় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর। পরে সেদেশের পুলিশ তাদের আটক করে হরিয়ানা জেল খানায় পাঠায়। সেখানকার আদালত তাদের ৪ মাস করে সাজা দেন। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনার পর তারা দেশে ফিরে আসেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিশ্রেশনের (ওসি) মহাসিন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ফেরত আসাদের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে চেকপোস্ট স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আশরাফুজ্জামান জানান, ফেরত আসা তাবলীগ সদস্যদের প্রাথমিকভাবে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গণজামায়াতে মধ্যে ছিলেন। তারপরও ৪ মাস জেল হাজতে ছিলেন। তাদের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা সেজন্য ঝিকরগাছা গাজির দরগায় ১৪ দিনের জন্য সরকারি তত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
কোয়ারেন্টাইন শেষে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন বলে জানান চেকপোস্ট পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।