আরিফ খান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী): দেশের মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও মাছের বংশবিস্তারের লক্ষ্যে সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ২০ মে থেকে।
এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে সাগরে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে দুই কিস্তিতে প্রথম ৫৬ এবং পরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া কথা থাকলেও পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ও বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের জেলেদের ভাগ্যে এখনও জোটেনি কোনও চাল।
সরজমিনে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞার কারণে রাঙ্গাবালী উপজেলার হাজার হাজার জেলে কর্মহীন হয়ে পরেছেন। জাল-ট্রলার নিয়ে তীরেই কাটাবেন বেকার সময়। ধারদেনায় হচ্ছেন জর্জরিত।
জেলেরা জানিয়েছেন, এখনও সরকারি বরাদ্দের চাল না পাওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জেলে খোকন মাঝি বলেন, ‘সরকার মাছ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা গত ১৩ দিন ধরে নিষেধাজ্ঞা পালন কইরা সাগরে মাছ ধরতে যাই না। কিন্তু আমাগো নামে সরকার যে চাল বরাদ্দ করছে তা এহনো পাইনি।’
উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের বাসিন্দা কামাল মিয়া জানান, ‘এখন বেকার বসে আছি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে সাগরে যাবো। এই সময় চাল না দিলে পরে চাল দিয়ে কি করবো।’
রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল হক বাবুল জানান, রাঙ্গাবালী উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা ১২ হাজার ৮২০। এদের প্রত্যেকেই নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের জন্য খাদ্য সহায়তা ভিজিএফ চাল পাবেন। উপজেলার রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন, ছোট বাইশদিয়া, চালিতাবুনিয়া এবং মৌডুবি ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
চরমোন্তাজ ও বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে দুই একদিনের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।