সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেসিকা ডলফিনের নামে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে এক মেরিন প্রশিক্ষককে একটি ওরকা প্রজাতির ডলফিন আক্রমণ করে হত্যা করেছে। ঘটনাটি নাকি ঘটেছে একটি মেরিন পার্কের লাইভ শো চলাকালীন।
ভিডিওতে যা দেখা যায়
ভাইরাল ক্লিপটিতে দেখা যায়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে জেসিকা ডলফিনের উপর নাচছেন। ডলফিনটি পানি থেকে উঠে এলে দর্শকেরা উল্লাস করে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ডলফিনটি লাফিয়ে উঠে জেসিকাকে পানির নিচে টেনে নেয়। দাবি করা হয়, পরে তাকে পানি থেকে তোলা হলেও কিছুক্ষণ পর মৃত্যু ঘটে।
বাস্তবতার প্রমাণ নেই
তথ্য যাচাইকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, জেসিকা ডলফিনের ঘটনার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে কোনও প্রশিক্ষকের অস্তিত্ব বা এই ধরনের দুর্ঘটনার রেকর্ড নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংবাদমাধ্যমও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
ভিডিওটি কৃত্রিমভাবে তৈরি
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জেসিকা ডলফিনের ভাইরাল ভিডিওতে ভুয়া ফুটেজ এবং এআই-তৈরি ভয়েস ওভার ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিওতে পানির গতিবিধি ও অস্বাভাবিক বিরতিও বিষয়টি প্রমাণ করে। এমনকি ভিডিওতে ব্যবহৃত মেরিন পার্কের নামও কাল্পনিক।
সব তথ্য যাচাইয়ে স্পষ্ট হয়েছে যে জেসিকা ডলফিনের ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এআই দ্বারা তৈরি। বাস্তবে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
জেনে রাখুন:
প্রশ্ন ১: জেসিকা ডলফিনের ভিডিও কি সত্যি ঘটনা?
না, ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং কৃত্রিমভাবে তৈরি। এআই দিয়ে ফুটেজ ও ভয়েস ওভার বানানো হয়েছে।
প্রশ্ন ২: জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে কি কোনও প্রশিক্ষক আছেন?
তথ্য যাচাইয়ে দেখা গেছে, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে কোনও মেরিন প্রশিক্ষকের অস্তিত্ব নেই।
প্রশ্ন ৩: জেসিকা ডলফিনের ঘটনার কোনও সরকারি প্রমাণ আছে কি?
না, কোনও সরকারি বিবৃতি বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে।
প্রশ্ন ৪: ভিডিওতে যে মেরিন পার্কের নাম বলা হয়েছে তা কি সত্যি?
না, ভিডিওতে ব্যবহৃত মেরিন পার্কের নাম সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
প্রশ্ন ৫: জেসিকা ডলফিনের ভিডিও কেন ভাইরাল হয়েছে?
এআই-তৈরি ভিডিওটি বাস্তবের মতো দেখানো হওয়ায় দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।