ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি নিজেকে বিশ্ব নেতাদের কাতারে নিয়ে গেছেন। নিজের দেশের অভ্যন্তরে তিনি অভূতপূর্ব উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছেন। নিওইয়র্ক টাইমস তার ভুয়সী প্রশংসা করে নিবন্ধ পাবলিশ করেছেন।
জোকো উইদোদো বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে খুব একটা মাথা না ঘামালেও সম্প্রতি রাশিয়া সফর করে পুতিনের সাথে দেখা করেছেন। পুতিনকে তিনি সার ও খাদ্য রপ্তানিতে বাঁধা না দিতে অনুরোধ করেন। পুতিন এতে রাজি হয়।
পাশাপাশি ইউক্রেন যেন গম সহ সকল খাদ্য ও দ্রব্য নিয়মিত রপ্তানি করতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। উইদোদো এ দুই দেশের মধ্যে সমঝোতাকারী হতে রাজি হয়েছেন।
জোকো তার ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ সময়ে অবস্থান করছেন। তিনি দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছেন। পর্যটন খাতকে শক্তিশালী করেছেন। অসামরিক কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছেন।
কূটনৈতিকভাবে বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান বেশি শক্তিশালী। অনেকেই অবাক হবেন যে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি কখনো জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেননি। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাস্তবতা এবং নির্দিষ্ট ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কাজ করি।
তবে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়মিত জাতিসংঘের অধিবেশনের যোগ দিন এবং মহাসচিব আন্তেরিও গুতারেসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জোকো বিশ্বমঞ্চে বড় খেলোয়াড় হতে চাননি। তিনি দেশের অভ্যন্তরের পরিস্থিতির দিকে সবথেকে বেশি মনোযোগী হতে চেয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার জনগণ চেয়েছে যেন তাদের রাষ্ট্রপ্রধান অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেন। দেশে ও বিদেশে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের সুরক্ষায় তিনি যেন মনোযোগী হন। জোকো উইদোদো দুটো কাজই সফলভাবে করতে পেরেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার ৩ হাজার জনগণের উপর জরিপ পরিচালনা করার পর ফলাফলে দেখা যায় যে, তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তিনি যখন ক্ষমতা ছাড়বেন তখন হয়তো সবথেকে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি হয়েই অফিস ত্যাগ করবেন।
জোকো উইদোদো একজন রাষ্ট্রনায়ক যিনি সবসময় জনগণের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দেন। তিনি জনমতকে সবসময় সমীহ করে চলেন। এজন্য চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সমালোচনা করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।