হেদায়েতুল ইসলাম বাবু : পুলিশ নিয়ে জোর করে কৃষকের কাঁচা ধান কেটে গৃহহীনদের জন্য মুজিববর্ষের উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ইউএনও’র বিরুদ্ধে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নাছিরাবাদে খাসজমির পরিবর্তে ব্যক্তিগত জমিতে এভাবে ঘর তোলায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
পরে ঘর তুলতে ওই জমিতে আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমের কাছে সম্প্রতি অভিযোগ করেন গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ি ইউনিয়নের নাসিরাবাদ পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বাবু।
আমিনুল ইসলাম বাবুর অভিযোগ, মাস দু’য়েক আগে তার বাড়ির পাশে পুলিশের উপস্থিতিতে আট শতক জমির কাঁচা ধান কেটে ফেলে সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মণ। তিনি বাধা দিলেও তার কোনো কথা শোনেননি তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ব্যক্তিগত জমিতে ঘর নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
অন্যদিকে এ প্রতিবেদক গোবিন্দগঞ্জ থেকে গাইবান্ধায় ফিরে আসার পর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, কাটাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিক মাহমুদ গোলাপের উপস্থিতিতে অন্য জায়গায় আট শতক জমির পরিবর্তে ইউএনও ষোলো শতক জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানান আমিনুল ইসলাম বাবু।
অন্যদিকে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ঘরের মেঝেতে ইট বিছিয়ে ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও মাটির ওপরে ঢালাই করা হয় এমন অভিযোগ করেন ওই গ্রামের গৃহহীন জামিলা ও তার স্বামী শফিকুল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিস্ত্রিরা ভুল করেছে। পরে গোবিন্দগঞ্জের স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই ঘরের মেঝে ভেঙে পুনরায় ঢালাই করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি রামকৃষ্ণ বর্মণ।
এ উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের জন্য ১২০টি ঘরের প্রতিটির জন্য সরকারি বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রকল্পের সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
তিনি জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এই প্রকল্পের সব তথ্য তার কাছে। সূত্র : সময় নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।