জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে তুরস্ক বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত দেভরিম ওজতুর্ক। খবর ইউএনবি’র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ আসছে। তুরস্কের উদ্যোক্তারা এখানে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তুরস্কের বিদায়ী দূত জানান, তারা বাংলাদেশের মতো ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের সাথে প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে নিতে প্রস্তুত।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘এ কৃতিত্ব আপনার। এটি আপনার সফলতা। আমি আমার মেয়াদে দেখেছি বাংলাদেশ কত দ্রুত এগিয়ে গেছে।’
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ‘আমি বাংলাদেশ থেকে ভালো স্মৃতি নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।’
দেভরিম ওজতুর্ক প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে তুর্কি দূতাবাসের জন্য ঢাকায় বাংলাদেশের বরাদ্দ দেয়া জমিতে চান্সারি ভবনের কাজ প্রায় শেষ। নবনির্মিত ভবন আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের মূল লক্ষ্য গ্রামকেন্দ্রিক উন্নয়ন করা যাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তার উপকার পায়।
তিনি জানান, এখন দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ১,৯০৯ মার্কিন ডলার। ২০০৫ সালে থাকা দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে কমে এখন সাড়ে ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা তার তুরস্ক সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, তুরস্কের সাথে বন্ধুত্বকে বাংলাদেশ মূল্য দেয়। কামাল আতাতুর্ক বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় এক নাম।
তিনি দুদেশের মধ্যকার সহযোগিতা, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতের সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য তুরস্কের সাহায্য ও সহযোগিতার কথাও স্মরণ করেন।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।