জুমবাংলা ডেস্ক : গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে টেক্সটাইল খাতে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ উৎপাদন কমেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএমএ।
শনিবার (৫ জুলাই) সকালে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।
বিটিএমএ নেতারা বলেন, বস্ত্রখাতে নগদ প্রণোদনা কমিয়ে দেওয়ায় এ শিল্প মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে। এ অবস্থায় নগদ প্রণোদনা কমানো ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ ছাড়া কিছুই নয়।
গত কয়েক মাস ধরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে শিল্পখাতে উৎপাদন কমেছে কয়েকগুণ। এ কারণে ট্যাক্সটাইলে উৎপাদন কমেছে অর্ধেক। অন্যদিকে চলতি অর্থ বছরে দেশীয় বস্ত্রখাতে ৩ শতাংশ নগদ প্রণোদনা কমিয়ে এক দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকট ও নানাবিধ সমস্যার কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে বস্ত্রশিল্প। এমনিতে ঋণে অতিরিক্ত সুদ, ডলার সংকট, এলসি জটিলতাসহ নানা সমস্যায় আছে বস্ত্র শিল্পে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক দিকে আমাদের বিদ্যুৎ নাই, গ্যাস নাই, ব্যাংকে পর্যাপ্ত ফান্ড নাই। আবার অন্যদিকে আমি আমার পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে পারছি না। এ ছাড়া এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো আগে আমার ১০০ কোটি টাকা লিমিট থাকলে এখন সেটা ৬০ কোটিতে নেমে এসেছে। এখন ৬০ শতাংশ এলসি করার পর বাকি ৪০ শতাংশ যখন আমার লিমিট না বাড়ায় তখন আমার সাপ্লাই বা উৎপাদনটা আর থাকে না। এমন হলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব।’
অনুষ্ঠানে বিটিএমএ এর নেতারা আরও বলেন, এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে নগদ প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রয়োজন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের নামে প্রণোদনা কমানো এ শিল্পের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।
এদিকে চোরাইপথে কাপড়ের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার পাশাপাশি বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নে সম্বলিত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদও দেন বস্ত্র কারখানার মালিকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।