পদবিতে খান থাকলেও বলিউডের ‘খান’ পরিবারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই সাহিল খানের। তবে ক্যারিয়ারজুড়েই নানা কারণে আলোচিত ছিলেন তিনি। সবশেষ মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় মডেল ও অভিনেতা সাহিলকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ।
এর আগেও একাধিকবার আদালতের চৌকাঠে পা রাখতে হয়েছে সাহিলকে। এই অভিনেতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল, তিনি বলিউড অভিনেতা জ্যাকি শ্রফের স্ত্রী অর্থাৎ টাইগার শ্রফের মা আয়েশা শ্রফের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
মূলত আয়েশা শ্রফের সঙ্গে যৌথভাবে একটি প্রযোজনা সংস্থা চালাতেন সাহিল। বলিপাড়ায় কানাঘুষো ছিল, সেখান থেকেই একটা সময়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজন। যেই সম্পর্কের প্রভাব পড়তে শুরু করে তাদের ব্যবসার উপরেও।
২০০৯ সালে আয়েশার চেয়ে বয়সে ১৭ বছরের ছোট সাহিল তাদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সম্পর্কে থাকাকালীন আয়েশা তাকে যে উপহারগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি আবার ফেরত চেয়েছেন।
এরপর ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে সাহিলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন আয়েশা। তারকা-পত্নীর দাবি, তার কাছ থেকে আট কোটি রুপি নিয়ে ফেরত দেননি অভিনেতা।
পাশাপাশি সাহিলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও দায়ের করেন আয়েশা। তার অভিযোগ ছিল, তাদের সম্পর্ক নিয়ে অসত্য বলেছেন সাহিল। সাহিলের সঙ্গে শুধুমাত্র পেশাগত সম্পর্ক ছিল, এমনটাই দাবি আয়েশার।
জ্যাকি শ্রফের স্ত্রীর এমন অভিযোগের পর সাহিলের আইনজীবী আয়েশার সঙ্গে অভিনেতার একাধিক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি আদালতে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন। কিন্তু আয়েশা পাল্টা দাবি করেন, সাহিল সমকামী ছিলেন। ছবিগুলো নকল।
এরপর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাহিল জানান, আয়েশার সংস্থায় ৬০ হাজার রুপির বেতনের বিনিময়ে চাকরি করতেন তিনি। আয়েশা নিজের জন্য উপহার কিনতে বলেছিলেন সাহিলকে। সেই টাকা নাকি সাহিলকে তিনিই দিয়েছিলেন। দামি ঘড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি এবং হিরার দুলও কিনতে বলেছিলেন।
সাহিল দাবি করেন, আয়েশার পুত্র টাইগার শ্রফের ছবি ভালো ব্যবসা করার পর তাদের দুজনের সম্পর্ক ভেঙে যায়। যেটা আয়েশা নিজেই করেছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের মার্চ মাসে আয়েশা এবং সাহিল নিজেদের মধ্যে মামলার সমাধান করে নেন। আয়েশার কাছে ক্ষমা চান সাহিল। সাহিলের বিরুদ্ধেও সব মামলা তুলে নেন জ্যাকির স্ত্রী।
এখানেই শেষ নয়। ২০১৪ সালে বলিউড অভিনেত্রী সানা খান, তার তৎকালীন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইসমাইল খানের সঙ্গে একটি সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারে কাজ করার কথা ছিল সাহিলের। অভিনেতার দাবি, সেসময় মুম্বাইয়ের এক জিমনেশিয়ামে তাকে মারধর করেন ইসমাইল। ইসমাইলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন সাহিল।
এছাড়াও ২০২১ সালে মনোজ পাটেল নামে এক ‘বডিবিল্ডার’-এর আত্মহত্যার ঘটনায় সাহিলের নাম জড়িয়ে পড়ে। সুইসাইড নোটে সাহিলের নাম উল্লেখ করেছিলেন মনোজ। যদিও এসব অসত্য বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা। তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।