জয়পুরহাটের আলু যাচ্ছে বিদেশে

জুমবাংলা ডেস্ক: খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটের আলু তোলার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। বিদেশে যাচ্ছে এখানকার আলু । অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আলুর দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। খবর বাসসের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে জেলায় ৪০ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টর । জেলায় এবার আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে ৪০ হাজার হেক্টর জমির আলু তোলার কাজ শেষ হয়েছে। যা শতকরা ৯৯ ভাগ বলে জানান কৃষি বিভাগ। আলু উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত উত্তরাঞ্চলের ছোট জেলা জয়পুরহাটে আলু চাষ সফল করতে বিএডিসিসহ স্থানীয় কৃষি বিভাগ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে।

কৃষি বিভাগ আরো জানায়, জেলায় আলু চাষ সফল করতে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে থাকে । বিএডিসি’র পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের আলু বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যান্য বছর আলু তোলার সময় দাম কমে ৬/৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হতো। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অনেক পাইকারী ক্রেতারা জমি থেকেই আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এবার বাজারেও আলু প্রকার ভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা খুশি বলে জানান , জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স ম মেফতাহুল বারি।

কৃষি বিভাগ জানায়, জয়পুরহাটের আলু উন্নত মানের হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করার পাশাপাশি দেশের গন্ডি পেরিয়ে ৯ টি দেশে রপ্তানী করা হচ্ছে। দেশ গুলো হচ্ছে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল ও রাশিয়া।

প্রাচীন বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ হয়ে থাকে। গত বছর ৩৮ হাজার ৫শ ৩০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এতে আলু উৎপাদন হয় ৮ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলন ভালো হওয়ায় জেলায় গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল , রোজেটা ও দেশি জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকেন কৃষকরা। জেলার ১৫ টি কোল্ড ষ্টোরেজে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন আলু রাখা সম্ভব হয় বলে জানায়, কৃষি বিভাগ।