জুমবাংলা ডেস্ক: জয়পুরহাট জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা ৪ টি নদীর ১১৩ দশমিক ৯১ কিলোমিটার পুন:খনন করায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, মৎস্যচাষ, সেচ সুবিধার পাশাপাশি বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর জামর রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসল।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত জয়পুরহাট জেলার তুলশীগঙ্গা, ছোট যমুনা, চিড়ি ও হারাবতী নদী পুনঃখনন ও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ওই নদী গুলো পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্প ব্যয় হয়েছে ১৩৬ কোটি টাকা। নদী গুলো পুনঃখননের ফলে বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা, মৎস্যচাষ, বন্যার ঝুঁকি রোধসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পাবে পাশাপাশি ৫ হাজার ৭শ হেক্টর জমির রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসল বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে । জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা পুনঃখনন কৃত নদী গুলোর মধ্যে রয়েছে তুলশীগঙ্গা নদী ৫৪ কিলোমিটার, ছোট যমুনা নদী ৩৮ দশমিক ৬০ কিলোমিটার, চিড়ি নদী ২১ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ও হারাবতী নদী ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার । এ ছাড়াও তুলশীগঙ্গা নদীর বাম ও ডান তীরের ৩০ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার বাঁধ পুণরাকৃতিকরণ করা হয়েছে। অন্যান্য বাস্তবায়িত প্রকল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার হিচমী খাল ৬ দশমিক ৭০ কিলোমিটার, হেলকুন্ডা খাল ৬ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার, পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর খাল ৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার, ক্ষেতলাল উপজেলার কুলবন্দি খাল ৬ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ও আক্কেলপুর উপজেলার মাদারতলী খাল ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হয়েছে। নদী পুনঃখনন ও বাঁধ নির্মাণের ফলে বন্যার কবল থেকে ফসল রক্ষাসহ নদীতে পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং শুষ্ক মৌসুমে বোরোসহ অন্যান্য ফসলে সেচ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হবে। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও রক্ষা পাবে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড জয়পুরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।