প্রেম হোক বা দাম্পত্য— সম্পর্কে মান-অভিমান, মন কষাকষি থাকবেই। ভালোবাসেন মানেই যে মতের অমিল, ঝগড়া থাকবে না তা নয়। ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে মান-অভিমানের পালা চলতেই থাকে। তবে ভুল বোঝাবুঝি কিংবা অভিমান বেশি দিন মনে পুষে না রাখাই ভালো। তাতে লাভ কিছুই হয় না। উল্টো বাড়ে দূরত্ব। তারচেয়ে অভিমান মিটিয়ে নেওয়াই ভালো।
আসলে সম্পর্ক মানেই হাসি-খেলা আর প্রমোদের মেলা নয়। মাঝে মাঝে ঝগড়া করে কথা বলা বন্ধ হতেই পারে। তবে সব ভুলে কীভাবে ফের কাছাকাছি আসবেন জেনে নিন।
একজন নীরবতা ভাঙুন
ঝগড়া হলেই কথা বলা বন্ধ। তবে বেশি দিন চুপ করে থাকার মানে নেই। তাতে জটিলতা বাড়ে। কেউ একজন এগিয়ে এসে যদি নীরবতা ভাঙেন, তা হলে সঙ্গী কিছুতেই মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারবেন না। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে আর ভুল বোঝাবুঝিও দূর হবে।
দোষ থাকলে স্বীকার করুন
আপনার কথায়, কাজে কিংবা আচরণে সঙ্গীর খারাপ লাগলে নিজে গিয়েই স্যরি বলুন। অযথা রাগ দেখিয়ে জটিলতা বাড়ানোর মানে নেই। যদি সত্যিই দোষ থাকে, নিজে থেকেই স্বীকার করে নিন। এতে মনের ভার কমবে, মিটবে দুজনের অশান্তি।
খোলাখুলি কথা বলুন
দোষ যারই থাক, কোনো বিষয়ে সমস্যা তৈরি হলে নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি কথা বলা জরুরি। তাতে সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে। মনের মধ্যে জমে থাকা নানা ধারণারও অবসান ঘটতে পারে।
সম্পর্কের বন্ধন মজবুত হয়
আদর্শ সম্পর্ক বলে কিছু হয় না। সুখী সম্পর্কের নির্দিষ্ট কোনো ফর্মুলা নেই। সম্পর্কের বন্ধন মজবুত করে তোলার নেই বিশেষ কৌশল। প্রেমের জোয়ারে ভেসে যেতে যেতে একে-অপরের প্রতি বিদ্রোহী হয়ে উঠলেও মন্দ হয় না। তাতে সঙ্গীর মনের আরও কাছাকাছি পৌঁছানো যাবে। এতে সম্পর্ক মজবুত হবে।
দুজনের মধ্যে অভিমান
ভালোবাসা না থাকলে দাম্পত্য ম্যাড়মেড়ে পরিস্থিতির মধ্যে যেতে পারে। তবে ঝগড়া করে দিনের পর দিন সেটা মনে জমিয়ে রাখলে সম্পর্ক ভাঙতে শুরু করবে। তাই ঝগড়া হোক, অভিমান জমুক, কিন্তু দুজন দুজনের সঙ্গে কথা বলুন। সমাধান নিজেই জায়গা করে নেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।