জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন নতুন কৌশলে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। গণহত্যার অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি এই কর্মসূচি আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনো সময় আছে। আপনারা আর ঝামেলা কইরেন না। কারণ, ঝামেলা করলে আপনারা টিকতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আমরা বলতে চাই, ভালোয় ভালোয় এ সকল ঝামেলা না করে আপনারা আত্মসমর্পণ করেন।’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগ ঢাল বানিয়েছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘তাদের মূল ইচ্ছা হচ্ছে, দেশে অস্থিতিশীলতা করে আবার ভারতের সাহায্য নিয়ে যদি ঢুকে পড়া যায়, তাহলে হয়তো তারা রক্ষা পাবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যারা হিন্দু সম্প্রদায়-হিন্দু সম্প্রদায় বলে তাঁদের আলাদা করে দিতে চায়, আমরা তাঁদের সঙ্গে একমত নই। তাঁরা সবাই নাগরিক। কিন্তু তাঁদের খেপিয়ে, তাঁদের দিয়ে আবার ঢাল বানিয়ে আরেকটা কৌশল আবিষ্কার করে কীভাবে এখানে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা যায়, সেই চেষ্টা আওয়ামী লীগ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এ দেশের মানুষ জ্বলে উঠতে পারে, ফুঁসে উঠতে পারে, গর্জে উঠতে পারে। তখন কোনো শক্তিই তাঁদের কাছে দাঁড়াতে পারে না। সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।’
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্দোলনের ফসল উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে আমরা সাহায্য করব। আমরা তাদের সহযোগিতা দেব, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে এবং গণতান্ত্রিকভাবে তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।’
এ সময় ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার বিচার ও নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই যে গণহত্যা, তার আমরা বিচার চাই। আমরা চাই এই সরকার, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছে, একটু স্বস্তি ফিরিয়ে নিয়ে এসে তারা নির্বাচন দেবে। একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন দেবে, সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের সরকার গঠন করবে। আমরা চাই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সরকার পরিবর্তন হোক। আমরা যৌক্তিক সময়ও দিতে চাই। একটা কথা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, গণতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং সেটার কোনো বিকল্প নাই। সেই গণতন্ত্রের জন্যই আমরা লড়াই করছি।’
হাসিনা সীমা লঙ্ঘন করেছিল উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অহংকার! কী অহংকার! আমার মনে আছে ২০১৪–তে যখন সমগ্র দেশ চাচ্ছিল নির্বাচনটাকে স্থগিত করে দিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলাপ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচন হোক, তখনো তিনি (শেখ হাসিনা) একই অবস্থা নিয়ে সবাইকে একেবারে অসম্মান করেছিলেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর মধ্যে প্রতিশোধের জিঘাংসা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সেই তাঁকেই আবার পালিয়ে যেতে হলো, আবার সেই জায়গায়। যেখানে তাঁর গোড়া পোঁতা আছে।’
অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।