বিনোদন ডেস্ক: ঝালকাটিতে বাপ-দাদার মাটির ভিটায় শরীর ছড়িয়ে কাঁদছেন ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা। অবাক হয়ে সেই দৃশ্য দেখছে মানুষজন। তাদের থামাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। সম্প্রতি সশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এটি ৬ বছর আগের ঘটনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরের মাঝামঝি তিনি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার উত্তর চেঁচরী গ্রামে আসেন।
এর আগে ওইদিন হেলিকপ্টারে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া শহরের বিহারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন নচিকেতা। নচিকেতা ভাণ্ডারিয়া বিহারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখেন। এক সময় এ বিদ্যালয়ে নচিকেতার দাদু ললিত কুমার গাঙ্গুলি প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বিদ্যালয়টি পরিদর্শন শেষে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে ভাণ্ডারিয়া শহর থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দহৃরের চেচরীরামপুর গ্রামে তার বাপ-দাদার গাঙ্গুলি বাড়িতে যান।
নচিকেতা জানান, ১৯৪৫-৪৬ সালের দিকে অর্থাৎ ভারত ভাগের আগেই তার বাবা সবারঞ্জন চক্রবর্তী ও মা লতিকা চক্রবর্তী ভারতে চলে গিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাদের ফেলে যাওয়া সে ভিটায় এখন মরিয়ম বেগম নামের এক মহিলা বসবাস করেন।
সেই জীর্ণদশার বাড়িটিতে মাথানত করে প্রায় ১০ মিনিট নীরবে বসে থাকেন তিনি। বলেন, এ মাটিতে বসার পর আর উঠতে মন চায় না। আমার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। থাকলে তাদের সঙ্গে নিয়েই আসতাম। তখন তার চোখের জল অন্যদেরও কাঁদিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।