জুমবাংলা ডেস্ক : কাঁচামরিচের দাম বাড়ছেই। গত দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা। তাতে প্রতি কেজির দর পৌঁছেছে ৪০০ টাকার কাছাকাছি। এভাবে দ্রুত দাম বাড়ায় চোখ কপালে উঠছে ক্রেতাদের। এর পেছনে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন কেউ কেউ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচামরিচের মৌসুম প্রায় শেষ। অন্যদিকে ঈদের বন্ধের কারণে ভারত থেকে আট দিন মরিচ আসেনি। তা ছাড়া ঈদের ছুটির কারণে ট্রাক ভাড়া বেড়েছে। এ জন্য কাঁচামরিচের সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁও কলোনিবাজার, রামপুরা, বাড্ডাসহ কয়েকটি বাজারে দেশি ছোট জাতের কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া হাইব্রিড জাতের বড় আকারের মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়। তবে অপেক্ষাকৃত কম দরে বিক্রি হয়েছে কারওয়ান বাজারে। এখানে পাইকারি বাজার থাকায় দাম কিছুটা কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ বাজারে দেশি ও হাইব্রিড উভয় জাতের মরিচের কেজি ৩০০ টাকার একটু কমে বিক্রি হয়েছে।
গত বুধবারও রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি ও হাইব্রিড জাতের কাঁচামরিচ কেনা গেছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকার মধ্যে। সেই হিসাবে দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। তবে কোনো কোনো ছোট বাজারে ৪০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান বলেন, কোরবানি ঈদের আগে ২৮০ টাকার মতো ছিল কেজি। এখন পাইকারি কিনতেই প্রতি কেজিতে খরচ পড়ে ৩৫০ টাকার মতো। পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ তো আছেই। সব হিসাব করলে ৪০০ টাকার কমে বিক্রি করা যায় না।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, অনেক কৃষকের ক্ষেতের মরিচ শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে লাগানো গাছে এখনও মরিচ আসা শুরু হয়নি। তাছাড়া ঈদের কারণে রাস্তায় এখনও যানজট। এ কারণে ট্রাক ভাড়া বেশি। এতে ঢাকায় মরিচ সরবরাহ কমেছে। তা ছাড়া ঈদের ছুটির কারণে ভারত থেকে কয়েকদিন মরিচ আসেনি। এটাও দাম বাড়ার একটা কারণ।
গত বছরও এ সময় হু হু করে বাড়তে থাকে কাঁচামরিচের দর। এক পর্যায়ে ঢাকায় কেজি ৭০০ টাকায় ওঠে। তবে ঢাকার বাইরে কোনো কোনো জেলায় হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায় মরিচের দাম। এবারও সেই শঙ্কা রয়েছে ক্রেতাদের।
তেজকুনিপাড়া থেকে গতকাল দুপুরে ৩৫০ টাকা কেজি দরে মরিচ কেনার পর হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটির অজুহাতে দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছরও বৃষ্টির অজুহাতে পকেট কেটেছেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। এবারও সেই পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। অথচ এদিকে সরকারের নজরদারি নেই।-সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।