নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রীতিমতো রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার সামনে ঘটে এ সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা। এতে পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের ভাষ্যমতে, স্যাটার্ন টেক্সটাইল কারখানার উৎপাদনশীল ঝুট মালামাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধে জড়িত গাজীপুর মহানগরের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কাজী এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লার অনুসারীরা। কয়েক দফা উত্তেজনার পর হালিম মোল্লা সম্প্রতি কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নতুন করে ঝুট সংগ্রহের চুক্তি করেন।
শনিবার দুপুরে চুক্তি অনুযায়ী হালিম মোল্লা তার লোকজন নিয়ে ঝুট মালামাল নিতে গেলে বাধা দেন হুমায়ুন কাজীর অনুসারীরা। এতে শুরু হয় কথাকাটাকাটি, যা দ্রুত রূপ নেয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষই একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অন্তত ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়, যার বিকট শব্দে আশপাশের জনপদে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে হুমায়ুন কাজী ও হালিম মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। একইভাবে কারখানার পরিচালক আমান উল্লাহকেও ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, “ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকা বর্তমানে পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।