নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার গাজীপুরা এলাকায় ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) রাতে মহানগর বিএনপির ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কাজী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে কাজী হারুন অর রশিদকে (৫০)। তিনি গাজীপুরা কাজীবাড়ী পুকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয়ভাবে পরিচিত রাজনৈতিক নেতা।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, “ঘটনার পরই বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।”
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ঝুট কেনার চুক্তি অনুযায়ী বাদী হুমায়ুন কাজী কয়েকজন সহযোগীসহ স্যার্টান টেক্সটাইলস লিমিটেড কারখানায় গেলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করার পাশাপাশি প্রায় ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮০-১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাম উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আছেন—
ফারহাদ বিন প্রবাল, আবু সাঈদ মোল্লা, কাজী মামুন, নুরুল আমিন বাবু, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাদশা, আদনান খান, কাউসার, জসিম, তারা মিয়া, এম এস আরিফ, আরেফিন সিদ্দিক বুলবুল, আসাদুজ্জামান মামুন, আজিজুর রহমান টিপু, নাহিদ, সেলিম, সোহেল আহমেদ ময়না, মাইদুল মোল্লা, সেলিম মোল্লা, মাসুদ মোল্লা, রফিকুল ইসলাম, মইনুদ্দিন (ওরফে পোইটকা মইন), আলমগীর হোসেন, নাজমুল করিম বাবু ও ফজলে রাব্বি।
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের মূল কারণ ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার। বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ঘটনার পর এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কেউ দায়ী প্রমাণিত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।