নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীতে সেলিম (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ভোরে দিকে টঙ্গীর কেরাণীটেক বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকাল ১০টায় হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সেটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সেলিম নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার নোয়াদিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। সেলিম তার স্ত্রী বৃষ্টি আক্তারকে নিয়ে টঙ্গীর কেরাণীটেক বস্তির স্থানীয় বকুলের ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেলিম পেশায় একজন বাবুর্চি। বৃহস্পতিবার ভোরে কেরানীটেক বস্তিতে বেবির ঘরের সামনে ফাঁকা জায়গায় তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে খবর পেয়ে সেলিমের স্ত্রী বৃষ্টি তার স্বামীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা জন্য টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে সেলিমের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
সেলিমের স্ত্রী বৃষ্টি আক্তারের অভিযোগ, স্থানীয় যুবক রনি ও খালেকের সঙ্গে তার স্বামীর পূর্ব বিরোধ ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে রনির মায়ের ঘরের সামনে সেলিমকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় কয়েকজন। পরে খবর পেয়ে স্বামীকে হাসপাতালে নেন তিনি। পরে এদিন সকালে সেলিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান আহমেদ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিম নামে এক যুবককে আনা হয়। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন আছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।