নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় ট্রাভেল ব্যাগ থেকে পলিথিনে মোড়ানো পরিবহন শ্রমিক অলি মিয়ার (৩৫) মাথাবিহীন ও আট খণ্ডে বিভক্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—সাদেক ও বাপ্পী। সাদেককে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে র্যাব গ্রেফতার করে এবং বাপ্পীকে টঙ্গী পশ্চিম থানার গাছা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। সাদেকের বাসার ছাদ থেকে অলি মিয়ার খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়।
নিহত অলি মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে। তিনি টঙ্গী এলাকায় স্ত্রী শাহানা আক্তার, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং আজমেরী পরিবহনের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।
অতিরিক্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান জানান, “প্রধান আসামি বাপ্পীকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শনিবার বিকালে টঙ্গীর বনমালা রোডের সাদেকের বাসার বাথরুমের কার্নিশ থেকে পলিথিনে মোড়ানো অলি মিয়ার বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়।”
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে পলিথিনে মোড়ানো মরদেহসহ একটি ট্রাভেল ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, “আসামিরা হত্যার পর মরদেহ খণ্ডিত করে ব্যাগে ভরে ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয়।”
র্যাব-১-এর অধিনায়ক কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, এই হত্যা মামলার মূলহোতা সাদেককে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।