Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home টমাস হার্ডি : ভিক্টোরীয় যুগের জনপ্রিয় কথক
    শিক্ষা শিক্ষামূলক গল্প শিল্প ও সাহিত্য

    টমাস হার্ডি : ভিক্টোরীয় যুগের জনপ্রিয় কথক

    Yousuf ParvezJuly 5, 2019Updated:July 5, 20195 Mins Read
    Advertisement

    শিল্প ও সাহিত্য ডেস্ক: ভিক্টোরীয় যুগের (১৮৩৭-১৯০১) অন্যতম প্রতিনিধিত্বশীল লেখক হচ্ছেন টমাস হার্ডি (১৮৪০-১৯২৮)। চার্লস ডিকেন্সের পর ইংরেজি সাহিত্যে সবচেয়ে পঠিত ও আলোচিত লেখক তিনি। এখনো প্রতি বছর বিশ্বের কোথাও না কোথাও তাঁকে নিয়ে গ্রন্থ বের হচ্ছে। বিশ্বসাহিত্যের খোঁজখবর রাখেন এমন পাঠকমাত্রই তাঁর টেস অব দ্যা ড’আরবারভিলস (১৮৯১), ফার ফ্রম দ্যা ম্যডিং ক্রাউড (১৮৭৪), দ্যা মেয়র অব কাস্টারব্রিজ (১৯৮৬), জুড দ্যা অবসকিউর (১৮৯৫) প্রভৃতি উপন্যাসের নামের সঙ্গে পরিচিত।

    ইংল্যান্ডের পূর্ব ডচেষ্টারশায়ারের হায়ার বকহ্যাম্পটন নামক এক পল্লিগ্রামে জন্মগ্রহণকারী হার্ডির পিতা টমাস ছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রী। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকার কারণে ষোল বছর বয়সে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে জেমস হিক্স নামের স্থানীয় এক স্থপতির কাছে শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি লন্ডনের কিংস কলেজে ভর্তি হন।

    টমাস হার্ডির প্রথম উপন্যাস ‘দ্যা পুওর ম্যান অ্যান্ড দ্যা লেডি’ কখনো প্রকাশিত হয়নি। তিনি কোনো প্রকাশক খুঁজে পাননি। একপর্যায়ে বন্ধু, লেখক মেরডিথের কথায় পান্ডুলিপিটি নষ্ট করে ফেলেন হার্ডি। মেরডিথ বলেছিলেন, লেখাটির মধ্যে বিতর্কিত রাজনৈতিক বিষয় থাকার কারণে প্রকাশিত হলে সমস্যা হতে পারে। এরপর হার্ডির ডেসপাটে রেমেডিস (১৮৭১) ও আন্ডার দ্যা গ্রিন উড ট্রিজ (১৮৭২) শীর্ষক দুটি লেখা বেনামে প্রকাশিত হয়। কিছুদিনের ভেতর কবি ও কথাশিল্পী হার্ডি সময়ের অন্যতম প্রধান লেখক হিসেবে আবির্ভূত হন।

    উপন্যাস-গল্প-কবিতার ভেতর দিয়ে তিনি সমসাময়িক পরিবর্তনশীল সমাজব্যবস্থার প্রায় সবধরনের অনুষঙ্গ তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে ভিক্টোরিয়ান সমাজে মানুষের তথাকথিত ভদ্রতার মুখোশের আড়ালের কুৎসিত চেহারাটি উন্মোচন করে দেন। যে কারণে তাঁর সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বশীল কাজ “Tess of the D’Urbervilles” এবং Ges “Jude the Obscure” উপন্যাস দুটি স্বকালে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে। এই সময় বিজ্ঞান বনাম ধর্মের দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতিতে তিনি বিজ্ঞানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ১৮৬৯ সালে ডারইউনের On the Origin of Species বইটি প্রকাশিত হওয়া মাত্রই তিনি সেটা পড়েন। এই পাঠের দৃশ্যত প্রভাব তার পরবর্তী সময়ের লেখায় পড়েছে।


    হার্ডির উপন্যাসে ইংলিশ কান্ট্রিসাইড বা গ্রামাঞ্চলের ভূদৃশ্য সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি নিজে বেড়ে উঠেছেন ডরচেস্টারে। এর আশেপাশের জায়গাগুলো হার্ডির অধিকাংশ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট হিসেবে গৃহীত হয়েছে। যেমন টেস অব ডি’আরবারভিলেস উপন্যাসে স্টোনহেঞ্জ নামক ঐতিহাসিক স্থানটির বিশেষ গুরুত্ব আছে।

    তৎকালীন ব্রিটিশ সমাজে বিয়ে এবং ডিভোর্সের জন্য কট্টর আইন চালু ছিল। হার্ডি কঠোরভাবে তার সমালোচনা করেন। তিনি ১৯১২ সালে একটি স্থানীয় পত্রিকায় লেখেন, “The English marriage laws are…the gratuitous cause of at least half of the misery of the community.” “Jude the Obscure” উপন্যাসে তিনি প্রচলিত সেকেলে বিবাহ আইনের নেতিবাচক প্রভাবটা তুলে ধরেছেন। হার্ডি নিজেও ব্যক্তিজীবনে দুবার বিয়ে করেন, দুবারই দাম্পত্য জীবনে সুখ পান নি। তখন ইংল্যান্ডের আইন অনুযায়ী বিয়ের আগে সব সম্পত্তির উপর মেয়েদের সমান অধিকার থাকত। কিন্তু বিয়ের পর সেই সম্পত্তির উপর সব ধরনের অধিকার চলে যেত স্বামীর উপর। আইন অনুযায়ী কারণ দেখিয়ে স্ত্রীদের মারধর করতে পারতেন স্বামীরা। ডিভোর্সের ক্ষেত্রে ছিল কড়াকড়ি আইন। স্ত্রীর এডাল্টারি বা পরকীয়া প্রেম প্রমাণ করতে হতো। সেটাও একটা জটিল ও ব্যয়বহুল আইনি প্রক্রিয়া। বরং সহজ ও ঝামেলামুক্ত ছিল বউ বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি।

    হার্ডি “দ্য মেয়র অফ ক্যাস্টারব্রিজ” উপন্যাসে সেটিই দেখিয়েছেন। উপন্যাসে মাইকেল হেনচার্ড তার বউকে নিলামে বিক্রি করে দেয়। হার্ডির জীবদ্দশাতেই ১৯১৩ সালে এই প্রথা বিলুপ্ত হয়ে যায়।

    হার্ডির কাছে আধুনিক ইংলিশ সাহিত্য নানাভাবে ঋনি। ভার্জিনিয়া উলফ, ডিএইচ লরেন্স, রবার্ট গ্রেবস-এর মতো খ্যাতনামা কথাশিল্পীরা তাঁর গল্প-উপন্যাস দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। অনুরূপভাবে রবার্ট ফ্রস্ট, এজরা পাউন্ড, ডিলান টমাসের মতো অনেক প্রখ্যাত কবি তাঁর কবিতা দ্বারা প্রভাবিত হন। কবি হার্ডি সম্পর্কে ডিলান টমাসের বক্তব্য হলো “one could never write a poem dominated by time as Hardy could.”  ১৮৯৮ থেকে ১৯২৮ সালের মধ্যে হার্ডি প্রায় ৯০০ কবিতা প্রকাশ করেন। এই বিপুল সংখ্যক কবিতার মধ্য দিয়ে তিনি কবি হিসেবেও বিশ্বসাহিত্যে অনন্য উচ্চতায় আসীন আছেন।

    এ পর্যায়ে আমরা হার্ডির একটি উপন্যাস ধরে তাঁর সাহিত্যিক প্রবণতা ও সমকালীন সমাজ-বাস্তবতা সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞাত হতে পারি। এক্ষেত্রে তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি টেস অব ডি’আরবারভিলেস (১৮৯১) উপন্যাসটিকে আমরা বেছে নিতে পারি। উপন্যাসটি অবলম্বনে ‘টেস’ নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন বিখ্যাত পরিচালক রোমান পলোনস্কি, ১৯৭৯ সালে। ছবিটি ৬টি বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পেয়ে ৩টি বিভাগে জয়লাভ করে।

    টেস নামক একজন নারীর সংগ্রামী জীবন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় বিষয়। অতি সাধারণ ঘরের মেয়ে টেস, যদিও তার পরিবারের পদবি ডারবেফিল্ড শুনে এক গ্রাম্য পাদ্রী কাম ইতিহাসবিদ জানান, তারা বিখ্যাত বংশ ডারবারভিলেসের বংশোদ্ভূত। এ কথা শুনে মাতাল কৃষক তার বড় মেয়ে টেসকে আত্মীয়তার সূত্র তৈরি করে এক ডি’আরবারভিলেস পরিবারে কাজের জন্য পাঠিয়ে দেয়। সেখানে এলেক ডি’আরবারভিলেস কর্তৃক ধর্ষিত হয় টেস। টেস অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে। শিশুটি জন্মগ্রহণ করেই মারা যায়।

    এরপর টেস একটি ডেইরিফার্মে মিল্কম্যানের কাজ জুটিয়ে বাড়ি ছাড়ে। এখানে সত্যিকারের প্রেমিক অ্যাঞ্জেল ক্লারের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও প্রণয় ঘটে। আঞ্জেল সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। কৃষিকাজ তার প্যাশন। টেস তার জীবনে ঘটে যাওয়া পূর্বের ঘটনাগুলো অ্যাঞ্জেলকে জানাবে জানাবে করে জানানোর সুযোগ পায় না। বিয়ের রাতে সে অ্যাঞ্জেলকে সব খুলে বলে। আঞ্জেল সব শুনে টেসকে প্রত্যাখ্যান করে।

    প্রত্যাখ্যাত টেস বাড়ি ফিরে আসে। ততদিনে তাদের পরিবারের অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়েছে। বাবা মারা গেছে। পরিবারের দায়িত্ব তখন টেসের উপর। বাধ্য হয়ে টেস ফিরে যায় ধর্ষক এলেকের কাছে। বাধ্য হয়ে তাকে বিয়েও করে সে। এরই ভেতর স্বেচ্ছায় সন্ন্যাসজীবন থেকে ফিরে আসে অ্যাঞ্জেল। টেসের প্রতি যে অন্যায় করেছে, সেটা বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয় সে। ফিরে আসে টেসের কাছে। বিবাহিত টেসের সঙ্গে দেখা করে হতাশ হয়ে ফিরে যায়। পরিবর্তিত অ্যাঞ্জেলের সাক্ষাৎ পেয়ে টেস বুঝতে পারে, তাকে সুখী হতে হলে তার সত্যিকারের প্রেমিক অ্যাঞ্জেলের কাছে ফিরে যেতে হবে। এজন্যে সে এলেককে খুন করে অ্যাঞ্জেলের কাছে পালিয়ে আসে। তারা দুজনে এক পোড়ো বাড়িতে আশ্রয় নেয়। দুদিন স্বামী-স্ত্রীর মতো বাস করে। তৃতীয় দিন পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় টেসকে। টেসের ফাঁসি হয়ে যায় খুনের অপরাধে। টেসের কথা মতো তার ছোটবোনকে বিয়ে করে অ্যাঞ্জেল টেসের পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করে।

    সমস্ত উপন্যাসজুড়ে উপস্থাপিত হয়েছে নিরপরাধ অসহায় টেসের ভোগান্তি। তার এই করুন পরিণতির জন্যে সে নিজে দায়ি নয়। এলেক তাকে ধর্ষণ করে। আর সেই অপরাধ গিয়ে পড়ে টেসের ওপর। যে-কারণে টেসকে ভুল বোঝে অ্যাঞ্জেল। অথচ অ্যাঞ্জেলের বিবাহপূর্ব জীবনেও একজন নারী এসেছিল। অ্যাঞ্জেলের সেই জীবন টেস মেনে নিতে পারলেও টেসের জীবন মানতে পারেনি তার প্রেমিক কথিত পুরুষ। টেস বারবার সমাজ-সংসার থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তবু সে দায়িত্বশীল থেকেছে সংসারের প্রতি। পরিবারের কথা ভেবে নিজেকে পুনরায় সপে দিয়েছে তার ধর্ষক পুরুষের কাছে। টেসকে ধর্ষণ করার জন্যে এলেকের কোনো শাস্তি হয়নি। কিন্তু এলেকের হত্যার অপরাধে টেসের ফাঁসি হয়েছে। এইভাবে ভিক্টোরিয়ান সমাজে একজন নারীর জীবনসংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেছেন হার্ডি। গল্পটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেদনার। প্রটাগনিস্ট টেসকে আমরা সার্থক ট্রাজিক নায়িকা বলতে পারি। পুরো সমাজকাঠামোটাই যেখানে এন্টাগনিস্ট হিসেবে কাজ করছে।

    Own the headlines. Follow now-  Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel
    ‘কথক’ চরিত্র প্রতিক্রিয়া, বিশ্লেষণ যুগ লেখক সংস্কৃতি সাহিত্য হার্ডি
    Related Posts
    মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের

    মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য নতুন স্নাতকোত্তর ভিসা পরিকল্পনা

    August 13, 2025
    Malaysia

    ৩২ দেশের শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ দিচ্ছে মালয়েশিয়া, নেই বাংলাদেশ

    August 12, 2025
    Private university

    বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বড় পরিবর্তন আসছে

    August 11, 2025
    সর্বশেষ খবর
    ইসলামিক লাইফস্টাইল অ্যাপস

    ইসলামিক লাইফস্টাইল অ্যাপস:আপনার আধ্যাত্মিক সঙ্গী

    শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সময়সূচি

    শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সময়সূচি:সফলতার সূত্র

    মনোযোগ বাড়ানোর ইসলামিক উপায়

    মনোযোগ বাড়ানোর ইসলামিক উপায়: শান্তি ও সফলতার পথ

    Kaligonj-Gazipur-A peddler of light on his journey of 60 years- (3)

    বইওয়ালা খালেক: ছয় দশক ধরে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে চলা এক মানুষ

    Shibaloy UNO

    নারীর সাথে ইউএনও’র অশালীন আচরণের অভিযোগ

    iPhone 17 Pro Max vs iPhone 17 Pro

    iPhone 17 Pro Max vs iPhone 17 Pro: Biggest Upgrades, Design Changes, Specs & What to Expect in September 2025

    Apple iPhone 17 Pro Max price

    iPhone 17 Pro Max বনাম iPhone 17 Pro: ডিজাইন, পারফরম্যান্স, ক্যামেরা এবং দাম সহ বিস্তারিত

    জো বাইডেনের কন্যা অ্যাশলি

    বিবাহবিচ্ছেদের পথে জো বাইডেনের কন্যা অ্যাশলি

    Spirit Airlines

    Spirit Airlines Faces Collapse Warning — Budget Airfare Industry Braces for Ripple Effects

    what time does new heights podcast drop

    Taylor Swift’s New Heights Episode Time: What Time Does the New Heights Podcast Drop Globally?

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.