টলেমি সঠিক ধরেছিলেন যে পৃথিবী একটি গোলক, এর চারপাশে মহাশূন্য। শতাব্দীর পর শতাব্দী কেটে গেল, প্রাচীন গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাজের কথা লোকে ভুলে গেল, হারিয়ে গেল তাঁদের লেখা; আবার লোকে ভাবতে শুরু করল যে পৃথিবী চ্যাপ্টা আর ধর্মভাবাপন্ন ভূগোলবিদরা মৃত সন্তদের স্থান হিসেবে স্বর্গ বসাল মানচিত্রে। স্বর্গ জায়গাটা তারা নির্দিষ্ট করল এশিয়া মাইনরে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যে।
পনেরো শতকের শেষার্ধে সমুদ্রপথে দীর্ঘ যাত্রা শুরু হলো লোকের। প্রথম সব সমুদ্রযাত্রীদের শুনতে হলো যে তাদের এ সব পরিকল্পনা পাগলামি ছাড়া কিছু নয়। জোর দিয়ে তাদের বোঝানো হলো যে পৃথিবী চ্যাপ্টা, ওসেনাস নদী পৃথিবীর প্রান্তদেশ ঘিরে বিরাট একটা জলপ্রপাতে পড়েছে অতল গহ্বরে। পৃথিবীর প্রান্তদেশে পৌঁছালে জাহাজ সে গহ্বরে পড়ে বিনষ্ট হবে।
কিন্তু তখনো এমন সব পণ্ডিত ছিলেন, যাঁরা প্রাচীন টলেমির মতো বিশ্বাস করতেন যে পৃথিবী বলের মতো গোল, প্লেটের মতো চ্যাপ্টা নয়। দূরযাত্রার বিরোধিতা যারা করত, তারা বলত, ‘বেশ, মেনে নিলাম যে পৃথিবী গোল। কিন্তু ওপর থেকে নিচে নামলে জাহাজটা আর উঠে ফিরে আসতে পারবে না!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।