স্পোর্টস ডেস্ক : মাশরাফির অবসরের গুঞ্জন মাটি চাপা পড়েছে নতুন আলোচনায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে টস করবেন কে? মাশরাফি নাকি সহঅধিনায়ক সাকিব আল হাসান! পুরো বিশ্বকাপেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে খেলা মাশরাফি পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্রাম চেয়েছেন। ব্যথা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় ম্যাচের আগের দিন ক্রিকেটের তীর্থস্থান লর্ডসে অনুশীলনও করেনি তিনি! শেষ পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নিলে সাকিবকেই পালন করতে হবে অধিনায়কের দায়িত্ব! খবর : বাংলা ট্রিবিউন
প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনে প্রাণবন্ত থাকেন মাশরাফি। সংবাদ সম্মেলন শেষে আড্ডাও দেন নিয়মিত। অথচ সেই মাশরাফি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন এলেন না। কী কারণ, তা নিয়ে ছিল কৌতূহল।
কেউই সুদুত্তর দিতে পারেননি। তবে গত কিছুদিন ধরে মাশরাফির অবসর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেটার মাত্রা বেড়ে গেছে বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হওয়ায়। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন মাশরাফিকে তার অবসর নিয়ে অনেক উত্তর দিতে হয়েছে। এই সব প্রশ্নে বিব্রত ও বিরক্ত হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্রাম নিতে চাইছেন!
শুক্রবার লর্ডসে বাংলাদেশ তাদের শেষ ম্যাচটি খেলতে নামছে। বিশ্বকাপেও মাশরাফির শেষ ম্যাচ। কিন্তু ম্যাচটিতে মাশরাফি খেলতে চাইছেন না বলে গুঞ্জন বাতাসে! কারণ হিসেবে তিনি পায়ের ব্যথার কথাই বলছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, পুরো টুর্নামেন্টে হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরি নিয়ে খেলা মাশরাফির আরেকটি ম্যাচ খেলতেই বা কী সমস্যা?
সমস্যা আসলে পায়ে নয়, মনে! বৃহস্পতিবার মাঠে থাকলেও পুরোটা সময় লর্ডসের ব্যালকনিতে বসে ছিলেন আনমনে। অভিমান থেকেই মূলত ম্যাচটি খেলতে চাইছেন না তিনি। গত কিছুদিন ধরে মাশরাফির ব্যর্থতা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। এইসব আলোচনায় কিছুটা চাপ অনুভব করছেন মাশরাফি। সেই চাপে পড়েই খেলতে চাইছেন না তিনি!
মাশরাফি না খেললে স্বাভাবিকভাবেই সহঅধিনায়কের ওপরই দায়িত্ব যাবে। কিন্তু সাকিব সেই দায়িত্ব পালন করতে চাইছেন না বলে শোনা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সব সিদ্ধান্ত মাশরাফির হাতেই। বাংলাদেশের অধিনায়ক যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, সেটা টসের আগে জানা যাচ্ছে না।
ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম লর্ডসে মাশরাফি খেলুক আর না খেলুক, আজ তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন না, এটা মোটামুটি নিশ্চিতই বলা চলে। এই মুহূর্তে অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের অপেক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।