টাইটানিক সিনেমার নাম শুনেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল। আবার একই সাথে এটি বিখ্যাত জাহাজের নাম। জ্যাক ও রোজের অনবদ্য ভালোবাসার গল্প আজও আলোচনা হয়৷ এ সিনেমার অজানা অনেক দিক রয়েছে যা সিনেমা দেখার পরেও অনেকে বুঝতে পারেনি। আজ অজানা ৭টা দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরুনের প্রবল ইচ্ছা ছিলো সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে টাইটানিকের অবশিষ্ট অংশ দেখার। কিন্তু ঐ সময়ে তার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিলো না। টাইটানিক নিয়ে নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি দেখার পর এ ভূত তার মাথায় চাপে। সিনেমা নির্মাণের পর তার ইচ্ছা পূরণ হয়েছিলো।
এটিই বিশ্বের প্রথম সিনেমা, যা বক্স অফিসে ১ বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। ২০১২ সালে থ্রিডিতে মুক্তি দেওয়ার পর, সিনেমাটি আয় করেছিল ৩৪৩ মিলিয়ন ডলার। পরিচালক জেমস ক্যামেরুন আসলে শুরুতেই বুঝতে পারেননি এটি নির্মাণে এতো ব্যয় হবে আর এতো লাভও করা যাবে।
সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরুনকে আপনি ব্রিলিয়ান্ট বলতেই পারেন। তিনি জিনিয়াসও বটে। এই যে, সিনেমার শেষ দিকে যে পাটাতন আপনি দেখেছেন তার আইডিয়া তিনিই দিয়েছিলেন। বর্তমানে জাদুঘরে এটি সংরক্ষিত আছে।
টাইটানিকের My Heart Will Go On গানটি দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলো। অথচ পরিচালক সিনেমায় কোন গান না রাখার ব্যাপারে কঠোর ছিলনে। অথচ শেষে এসে তিনি অবাক হয়েছিলেন।
এ ফিল্ম নিয়ে কাজ করার সময় অনেক স্টাফ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে দেওয়ার ফলে এরকমটা হয়েছিলো। তবে কে কাজটি করেছে তার খোজ মিলেনি আজও।
ক্লাইম্যাক্স সিনের জন্য ৪৫ ফুট লম্বা মডেল শিপ ব্যবহার করা হয়েছিল। জাহাজ ডুবার দৃশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল ১৩ লাখ লিটার পানি। পুরো জাহাজের ভেতরের অংশ ডোবাতে দরকার হয়েছিল মোট ১ কোটি ৯০ লক্ষ লিটার পানি ।
লাইফ বোট, স্মোক ফানেলকে আসল টাইটানিকের থেকে ১০% ছোট করে বানানো হয়েছিল। সিঁড়ি করা হয়েছিল ৩০% বেশি চওড়া। টাইটানিক ইতিহাসের আদলে তৈরি হচ্ছে কি-না, তা দেখভাল করার জন্য টাইটানিকের ইতিহাসবিদ ডন লিঞ্চ এবং ক্যান মার্শালকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বহু প্রপ্স, আসবাবপত্র নির্মাণের জন্য মেক্সিকো এবং আমেরিকা থেকে কারুশিল্পী ভাড়া করে আনা হয়েছিল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।