Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home টাইম ট্রাভেল কি সত্যিই সম্ভব?
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    টাইম ট্রাভেল কি সত্যিই সম্ভব?

    December 13, 20238 Mins Read

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : টাইম ট্রাভেল বা সময়ের মাঝে পরিভ্রমণ নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। ১৮৯৫ সালে এইচ জি ওয়েলস সর্বপ্রথম এই বিষয় নিয়ে ‘দ্য টাইম মেশিন’ নামে একটি জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লিখেছিলেন। এরপর থেকে এ নিয়ে অজস্র কল্পকাহিনী এবং উপন্যাস লেখা হয়েছে। ব্লকবাস্টার সিনেমাও তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি।

    Advertisement

    এসব কল্পকাহিনীতে দেখা যায় টাইম মেশিনে চড়ে খুব সহজেই মানুষ অতীত বা ভবিষ্যতে পরিভ্রমণ করছে। যেমন ধরুন, আপনার ইচ্ছে হলো অতীতে ফিরে যেতে। আপনি টাইম মেশিনে চড়ে ব্যাক বাটন টিপে চলে যেতে পারবেন দূর অতীতের কোন এক ঐতিহাসিক সময়ে। আবার হয়তো আপনার ইচ্ছে হলো, ভবিষ্যতের পৃথিবীটি কেমন হবে সেটা দেখতে।
    আপনি টাইম মেশিনের ফরওয়ার্ড বাটনে চাপ দিয়ে চলে গেলেন সুদূর ভবিষ্যতে। ব্যাপারটি মজার কোনো সন্দেহ নেই।
    কিন্তু আসলে সময়ের মাঝে পরিভ্রমণ করা কি আদৌ সম্ভব?

    এ নিয়ে বিজ্ঞানীমহলে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। একদল বিজ্ঞানী মনে করেন, এটি আদৌ সম্ভব নয়।

    আরেক দল বিজ্ঞানী মনে করেন, তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব হলেও বর্তমানের প্রযুক্তিতে এটি এখনো সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে সম্ভব হতে পারে।
    সময় হলো বহতা নদীর মত। সময় কখনো উল্টো দিকে প্রবাহিত হয় না। প্রতি মুহূর্তেই আমরা একটু একটু করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

    এই মুহূর্তে যেটা বর্তমান, পরমুহূর্তে সেটাই অতীত। অতীত থেকে বর্তমানের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের দিকে আমরা ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই অবিরাম পথ চলায় কোন বিরতি নেই। কিন্তু বর্তমান থেকে অতীতে ফেরা কি সম্ভব? অথবা সুদূর ভবিষ্যতে চট করে চলে যাওয়া যাবে কি? এই প্রশ্নের জবাব খোঁজার আগে, চলুন আমরা দেখি সময় ব্যাপারটি আসলে কি এবং কিভাবে সময়ের সূচনা হয়েছিলো।
    বিজ্ঞানীদের মতে, ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে এক মহা বিস্ফোরণের বা বিগ ব্যাংয়ের ফলে আমাদের চেনা মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিলো। এই মহা বিস্ফোরণের পরপরই মহাবিশ্ব প্রসারিত হওয়া শুরু করে এবং অদ্যাবধি প্রসারিত হয়েই চলেছে। এই প্রসারণের ফলে মহাবিশ্বে স্থানের (space) সৃষ্টি হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা তিনটি স্থানিক মাত্রা (dimension) রয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই মহা বিস্ফোরণের ফলে ত্রিমাত্রিক স্থানের পাশাপাশি আরেকটি মাত্রার সূচনা হয়েছিলো। মহাবিশ্বে কোনো বিন্দুকে চিহ্নিত করতে হলে, ত্রিমাত্রিক স্থানের পাশাপাশি এই চতুর্থ মাত্রাটিরও উল্লেখ করা প্রয়োজন। এই চতুর্থ মাত্রাটিই হলো, সময় বা কাল (time)। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মহাবিস্ফোরণের আগে স্থান এবং কালের কোন অস্তিত্ব ছিল না। সবকিছুই একটি বিন্দুতে স্থির অবস্থায় ছিল। মহা বিস্ফোরণের ফলে একই সাথে স্থান এবং কালের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও দৈনন্দিন জীবনে স্থান এবং কালকে আমরা আলাদা মনে করি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে স্থান-কালের ( space-time) যৌথ বুননেই মহাবিশ্বের অবকাঠামো গঠিত হয়েছে। মহাবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তাঁর সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বে এটি দেখিয়েছেন। বস্তুত সময় হচ্ছে মহাবিশ্বের একটি অন্যতম মাত্রা, যার প্রভাবে মহাবিশ্ব সর্বদাই পরিবর্তিত হচ্ছে।

    আইনস্টাইন তাঁর বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বে সময়ের সাথে গতির একটি সম্পর্ক তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, সময় ব্যাপারটি ধ্রুব নয়, এটি আপেক্ষিক। কোন বস্তুর গতি বৃদ্ধি পেলে তার জন্য সময় শ্লথ হয়ে যায়। যেমন ধরুন, দুইজন জমজ ভাইয়ের একজনকে রকেটে করে মহাশূন্যে পাঠানো হলো। আরেক ভাই পৃথিবীতেই অবস্থান করলো। ধরা যাক, মহাশূন্যে রকেটটি আলোর গতির কাছাকাছি (৯৯%) গতিতে পাঁচ বছর চলার পর পৃথিবীতে আবার ফিরে এলো। পৃথিবীতে ফিরে আসার পর দেখা যাবে ওই পাঁচ বছরে পৃথিবীতে ছত্রিশ বছরের সমান সময় পার হয়ে গেছে। এর কারণ হলো, আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব অনুসারে প্রচন্ড গতির কারণে রকেটের ভেতর সময় শ্লথ হয়ে গিয়েছিলো। সেজন্য এক ভাইয়ের কাছে রকেটের ভেতর যে সময়কে মনে হয়েছে পাঁচ বছর, অন্য ভাইটির কাছে সে সময় পৃথিবীতে কেটেছে পুরো ছত্রিশ বছর। ভ্রমণ শেষে মহাশূন্যচারী ভাইটি তার পৃথিবীতে অবস্থানকারী জমজ ভাইটির চেয়ে বয়সে একত্রিশ বছর ছোট হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, সে ফিরে আসবে একত্রিশ বছর পরের ভবিষ্যতে। তার চেনা পৃথিবী তখন অনেক পরিবর্তিত হয়ে গেছে। একে অনেকের কাছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মনে হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞান বলে এটি সম্ভব। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় টাইম ডাইলেশন বা সময় প্রসারণ। এর স্বপক্ষে অনেক পরীক্ষামূলক প্রমাণও রয়েছে।

    মজার ব্যাপার হলো, বাস্তবেও এর প্রয়োগ দৈনন্দিন জীবনে আমরা এখন করছি। আজকাল গাড়িতে পথ নির্দেশনার জন্য জিপিএস (GPS) স্যাটেলাইটের সাহায্য নেয়া হয়। এসব স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবী থেকে অনেক উঁচুতে মহাশূন্যে অবস্থান করছে। এদের গতি আলোর গতির কাছাকাছি নয়, সেকেন্ডে মাত্র ৩.৯ কিলোমিটার।আলোর গতি হলো সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার। সুতরাং এসব স্যাটেলাইটের গতি আলোর গতির একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র। কিন্তু তারপরও এই গতির কারণে জিপিএস স্যাটেলাইটের ঘড়িগুলো প্রতিদিন ৩৮ মাইক্রোসেকেন্ড করে স্লো হয়ে যায়। কিন্তু এখানে আর একটি কথা মনে রাখতে হবে। সেটি হলো, সময়ের ওপর মহাকর্ষ বলেরও প্রভাব রয়েছে। এটিআইনস্টাইন তাঁর আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বে দেখিয়েছেন।

    পৃথিবী থেকে অনেক উচ্চতায় থাকার ফলে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব জিপিএস স্যাটেলাইটের ওপর একটু কম হয়। এর ফলে জিপিএস স্যাটেলাইটের ঘড়িগুলো পৃথিবীর ঘড়িগুলোর চেয়ে প্রতিদিন ৪৫ মাইক্রোসেকেন্ড বেশি গতিতে চলে। গতি এবং মহাকর্ষ এই দুই ধরনের টাইম ডাইলেশনের জন্য সামগ্রিকভাবে জিপিএসের ঘড়িগুলো পৃথিবীর ঘড়ির চেয়ে ৪৫ বিয়োগ ৭, অর্থাৎ ৩৮ মাইক্রোসেকেন্ড বেশি গতিতে চলে। মাইক্রোসেকেন্ড হলো সেকেন্ডের মিলিয়ন ভাগের এক ভাগ। আমাদের দৈনন্দিন সময়ের হিসেবে এটি খুব বেশি কিছু নয়। তবুও এজন্য জিপিএস স্যাটেলাইটের ঘড়িগুলোকে পর্যায়ক্রমে ক্রমাঙ্কন (calibration) করা হয়। এটা না করা হলে, জিপিএস স্যাটেলাইটগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারত না।

    তাহলে টাইম ডাইলেশনের ব্যাপারটিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যত থেকে ঘুরে আসলে মন্দ হয় না, তাই না? কিন্তু সমস্যা হলো, আলোর গতির কাছাকাছি গতিতে চলার মতো কোনো যানবাহন মানুষ এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। এছাড়াও আরেকটি সমস্যা রয়েছে। সেটি হলো, আলোর গতিতে চললে কোন বস্তুর ভর হয়ে যাবে অসীম এবং দৈর্ঘ্য হবে শূন্য। এটাও আইনস্টাইন তাঁর সমীকরণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন। সেজন্য আলোর গতিতে চলা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব হলেও, বাস্তবে নয়। এজন্য আইনস্টাইন টাইম ট্রাভেল নিয়ে নিজেই যথেষ্ট সন্দিহান ছিলেন।

    তবে টাইম ট্রাভেলের আরেকটি সম্ভাব্য উপায় রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রেও আমাদের আইনস্টাইনের শরণাপন্ন হতে হবে।

    আগেই বলেছি, স্থান-কালের (space-time) যৌথ বুননেই মহাবিশ্বের অবকাঠামো গঠিত হয়েছে। স্পেস-টাইমকে আমরা একটি রাবারের চাদরের সাথে তুলনা করতে পারি। এই চাদরের উপর আমরা যদি একটি সীসার বল রাখি, তাহলে বলটির ভরের জন্য এর চারপাশে রাবারের চাদরটি বাঁকা হয়ে যাবে। ঠিক তেমনিভাবেই সূর্যের ভরের জন্য তার চারপাশের স্পেস-টাইমের মধ্যে এক ধরনের বক্রতার সৃষ্টি হয়েছে। আর সেটিকে অনুসরণ করেই পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করছে। ঠিক একইভাবে সূর্যও প্রদক্ষিণ করছে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রকে ঘিরে। যে বস্তুর ভর যত বেশি হবে তার চারপাশে বক্রতার পরিমাণও তত বেশি হবে। সেজন্যই তার মহাকর্ষ বলও হবে তত বেশি। এভাবেই আইনস্টাইন তাঁর সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বে মহাকর্ষ বলের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এরকম যুগান্তকারী ধারণা আইনস্টাইনের আগে আর কারো মাথায় আসেনি। তাঁর আবিষ্কৃত সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব গত একশো বছরে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ভুলভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

    অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব। সেজন্য মহাকর্ষ বলকে ব্যবহার করতে হবে। এ ব্যাপারে ফ্র্যাঙ্ক টিপলার নামে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী একটি অভিনব পদ্ধতির কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছেন, সূর্যের চেয়ে ১০ গুণ ভারী কোন বস্তুকে যদি সিলিন্ডারের আকৃতি দেয়া যায় এবং সেটাকে যদি প্রচন্ড গতিতে ঘোরানো যায়, তাহলে ওই সিলিন্ডারের ভেতর স্পেস-টাইমের চাদরের মধ্যে একটি সুড়ঙ্গ সৃষ্টি হবে, যার ভেতর দিয়ে অতীতে ভ্রমণ করা সম্ভব হবে। তিনি তাত্ত্বিকভাবে তাঁর ধারণাটি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বলাই বাহুল্য, এটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মতো প্রযুক্তি মানুষের হাতে নেই। সেজন্য এটাকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মতোই মনে হবে।

    এখানে বলে রাখি, বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বে এমন কিছু চমকপ্রদ বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন যেগুলো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকেও হার মানায়। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণবিবর। ব্ল্যাকহোল এমন এক মহাজাগতিক বস্তু যার প্রবল মহাকর্ষ বলের প্রভাবে এর ভেতর থেকে আলোকরশ্মিসহ কোনো ধরনের সিগন্যালই বের হতে পারে না। ব্ল্যাকহোলের ভেতরটি সম্পূর্ণ অন্ধকার। ব্ল্যাকহোলের ভেতর স্পেস-টাইমের বক্রতাটি অসীম আকার ধারণ করেছে। বিজ্ঞানীরা একে বলেন সিঙ্গুলারিটি। তাঁদের মতে, ব্ল্যাকহোলের অভ্যন্তরে এটি একটি অদৃশ্য সুড়ঙ্গের আকার ধারণ করেছে। শুধু তাই নয়, স্পেস-টাইমের এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে বিশাল মহাবিশ্বে একটি ব্ল্যাকহোল অন্য একটি ব্ল্যাকহোলের সাথে সংযুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে। বাইরে থেকে দেখে মনে হবে ব্ল্যাকহোল দু’টো লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে স্পেস-টাইমের সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে তারা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অবস্থায় রয়েছে। স্পেস-টাইমের ভেতরের এই অদৃশ্য সুড়ঙ্গের নাম তাঁরা দিয়েছেন, ওয়ার্মহোল (wormhole)।

    ব্যাপারটা সাইন্স ফিকশনের মত মনে হলেও, ওয়ার্মহোলের ধারণাটি অবশ্য নতুন কিছু নয়। সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব দিয়ে এর ব্যাখ্যা করা যায়। আইনস্টাইন এবং তাঁর সহযোগী বিজ্ঞানী ন্যাথান রোজেন ১৯৩৫ সালে লেখা এক গবেষণা নিবন্ধে এর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাঁরা অবশ্য তখন ওয়ার্মহোল নামটি ব্যবহার করেননি, বিজ্ঞানী মহলে তখন একে আইনস্টাইন-রোজেন ব্রিজ নামে আখ্যায়িত করা হতো।

    অনেক বিজ্ঞানী ওয়ার্মহোলকে মহাবিশ্বের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার শর্টকাট রাস্তা মনে করেন। তাদের মতে ওয়ার্মহোলের ভিতর দিয়ে পরিভ্রমণ করে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্থানে এবং ভিন্ন সময়ে গিয়ে উপস্থিত হওয়া সম্ভব। যদিও এ ব্যাপার নিয়ে বাস্তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ এখনো আসেনি।

    আরেকদল বিজ্ঞানী মনে করেন, গবেষণাগারে প্রচণ্ড শক্তিশালী মহাকর্ষ বলের ক্ষেত্র সৃষ্টি করে, স্থান-কালের চাদরের মধ্যে কৃত্রিম সুড়ঙ্গ তৈরি করে তার ভেতর দিয়ে অতীতে ফিরে যাওয়া যাবে। তবে এতটা শক্তিশালী মহাকর্ষ বল সৃষ্টি করার মত প্রযুক্তি মানুষের হাতে এখনও নেই। তবে ভবিষ্যতে হলেও হতে পারে বলে অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন।

    প্রথমেই বলেছি সময়ের মাঝে পরিভ্রমণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সীমা নেই। সেটি মাঝে মাঝে বিজ্ঞানীদের মধ্যেও পরিলক্ষিত হয়। তবে এ ব্যাপারে কিছু কূটাভাস (paradox) রয়েছে। সেগুলো একটু আলোচনা করা দরকার। যেমন ধরুন, কেউ যদি অতীতে ফিরে গিয়ে তার নিজের দাদাকেই ছোট বয়সে হত্যা করে আসে, তাহলে কি হবে? তাহলে তো তার নিজের বাবারই জন্ম হবে না এবং ফলে তার নিজেরও জন্ম হবে না। তাহলে সে তার দাদাকে হত্যা করলো কিভাবে? টাইম ট্রাভেলের ক্ষেত্রে একে বলা হয়, গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স। তারপর ধরুন, আমরা ভাবছি ভবিষ্যতের মানুষ টাইম ট্রাভেল করার মত প্রযুক্তি অর্জন করবে। তাহলে এতদিনে ভবিষ্যৎ থেকে বেশ কিছু মানুষের অতীতে, অর্থাৎ আমাদের বর্তমানে চলে আসার কথা ছিল।কিন্তু তাদেরকে কোথাও তো দেখা যাচ্ছে না। সেজন্য অনেক বিজ্ঞানী বলেন, টাইম ট্রাভেল ব্যাপারটি তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব হলেও বাস্তবে বেশ গোলমেলে।

    পদার্থবিদ এবং জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক ড. মিচিও কাকুর মতে টাইম ট্রাভেলের ক্ষেত্রে প্রকৃতিগত কোনো বাঁধা নেই, এটি মূলত একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান করার মতো প্রযুক্তি মানুষ এখনো আয়ত্ব করতে পারেনি।

    সূত্র: ফিজিকস অব দ্য ফিউচার/মিচিও কাকু

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    কি টাইম ট্রাভেল প্রযুক্তি বিজ্ঞান সত্যিই সম্ভব,
    Related Posts
    Microsoft-Office-Rebrand

    মাইক্রোসফট অফিস শেখার জন্য সেরা ৫টি কোর্স

    June 27, 2025
    Realme P3 Pro 5G

    Realme P3 Pro 5G: অন্ধকারেও গ্লো করবে সেরা ফিচারের এই ফোন!

    June 27, 2025
    Honor-400-Lite

    Honor 400 Lite সেরা সব ফিচারের নতুন চমক, রইল স্পেসিফিকেশন!

    June 27, 2025
    সর্বশেষ খবর
    panchayat season 5

    Panchayat Season 5 Confirmed: Sanvikaa Reveals Shooting Timeline and What Fans Can Expect

    দিঘী

    ৭ দিনের মধ্যে মুখের কালো দাগ দূর করার দুর্দান্ত উপায়

    Puffed Rice

    মুড়ির ইংরেজী অর্থ কী? অনেকেই জানেন না

    ওয়েব সিরিজ

    নতুন রোমান্টিক ড্রামা ওয়েব সিরিজ, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে

    Gold

    বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী স্বর্ণের দাম: কমছে চাহিদা ও বিনিয়োগ

    জিহ্বা

    ফুসফুস বা কিডনি সুস্থ আছে কিনা পরীক্ষা করুন চামচ দিয়েই

    Microsoft-Office-Rebrand

    মাইক্রোসফট অফিস শেখার জন্য সেরা ৫টি কোর্স

    Kathal

    বিমানে কোন ফলটি নিষিদ্ধ, আপনার কাছে পাওয়া গেলে জেল পর্যন্ত হতে পারে

    Oissoria Sharma

    বিচ্ছেদের গুঞ্জনে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া

    What happened to Tanner Martin?

    What Happened to Tanner Martin? Utah Influencer’s Final Farewell Captivates the Internet

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.