জুমবাংলা ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় সড়কে ডাকাতির ঘটনায় থানার ওসি লুৎফুল কবীর ও এসআই আহম্মেদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীসহ চার কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনে ৭২ ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন, টাকা দাবি এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ওসি লুৎফুল কবীর ও এসআই আহম্মেদের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরের আইজিপি’স কমপ্লেইন সেলে লিখিত অভিযোগ করেছে নির্যাতনের শিকার দুই কিশোর আজিজুল ও নিশানের পরিবার। এর আগে ৭২ ঘণ্টায়ও তাদের আদালতে না তুলে থানা হেফাজতে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় ওসির বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করা হয়। আদালত মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করেছেন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর।
জানা যায়, ৩০ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে গয়েশপুর-সড়াবাড়ী এলাকায় গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৩৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা লুট করে ডাকাতদল। এখন পর্যন্ত প্রকৃত ডাকাত ও লুট হওয়া টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অথচ শিক্ষার্থীসহ চার নিরীহ কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে থানায় এনে ৭২ ঘণ্টা আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করেন ওসি। নির্যাতন বন্ধ এবং মামলা না দেওয়ার কথা বলে টাকা দাবি করেন তিনি। এদিকে তার নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে সুজাত নামের এক কিশোরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও ভর্তি করে পুলিশ।
চার কিশোরের অভিভাবকদের কাছে ওসির দাবীকৃত টাকা আদায়ে তাদের বাড়িতেও যান এসআই আহম্মেদ এবং টাকা নিয়ে থানায় যাওয়ার পর তাদের সন্তানদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। এর পরই কিশোর আজিজুলের বাবা ধারদেনা করে ৫০ হাজার এবং নিশানের বাবা গরু বিক্রি করে ৬৭ হাজার টাকা নিয়ে থানায় যান।
অভিযোগ রয়েছে, টাকার অঙ্ক কম হওয়ায় তাদের থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাড়িয়ে দেওয়া হয় নিশানের বড় বোনকেও। চাহিদা মোতাবেক টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চার কিশোরকে ফাঁসানো হয় ঝিনাইদহের আরেকটি সড়ক ডাকাতির মামলায়।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি লুৎফুল কবীর বলেন, ‘কী অভিযোগ করা হয়েছে আমি জানি না। আসামিদের কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। কারো কাছে কোনো টাকাও দাবি করা হয়নি। আসামিদের সাথে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি। আমার নামে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।