জুমবাংলা ডেস্ক : করতোয়া নদী দিয়ে টাকা ভেসে যাচ্ছে-এমন গুঞ্জনে রাতের আঁধারেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন রিকশাচালক হানিফ মিয়া। তিনি খুঁজে খুঁজে উদ্ধার করলেন ১০০ টাকার একটি আর ১০ টাকার চারটি নোট। হানিফের মতো আরও অনেকে ‘ভেসে যাওয়া টাকা’ পাওয়ার আশায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে শূন্য হাতে ফিরেছে। অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২-৩ জন টাকা পেয়েছেন। তবে সব মিলিয়ে এ টাকার পরিমাণ ৫০০-৬০০-এর বেশি হবে না।
গত সোমবার রাতে ‘করতোয়া নদীতে টাকা ভাসছে’ এমন খবরে উৎসুক জনতা ভিড় জমায় নদীর পাড়ে। অনেকেই সেতুর ওপরে ও নদীর কিনারে দাঁড়িয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভিড় জমিয়ে ছিল। মুহূর্তেই নদীর পানিতে টাকা ভাসার গুজব ছড়িয়ে পড়ে বগুড়া শহরময়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন আসল ঘটনা খুঁজে বের করতে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, চেলোপাড়া সেতুর একপাশে কিছু পকেটমার নিয়মিত জুয়া খেলত। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে হাতে কিছু খুচরা টাকা নিয়ে তারা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। হতে পারে এগুলো সেই টাকা। তবে এর পরিমাণ ৫০০-৬০০-এর বেশি হবে না।
সোমবার রাতে নদীর রেল সেতু ও ফতেহ আলী সেতুর মাঝামাঝিতে বিপুলসংখ্যক উৎসুক জনতা ভিড় করে। সেখানে অনেকেই নদীতে নামে টাকা সংগ্রহ করতে। তবে কত টাকা সেখানে পাওয়া গেছে সেটা কেউই সঠিক বলতে পারেনি।
শহরতলীর নারুলীর মোশারফ হোসেন, উত্তর চেলোপাড়ার চন্দন জানান, টাকা ভেসে থাকার বিষয়টি কাইল্যা নামের এক ব্যক্তি প্রথমে দেখে। প্রথমে সে নদী থেকে টাকা সংগ্রহ করে চলে যায়। সেই খবরে তারাও সেখানে নেমে টাকা সংগ্রহ করেছে। সেখানে থাকা স্থানীয় রহিম উদ্দিন, মাহবুর রহমান, সফিকুল ইসলাম জানান, নদীতে কে বা কারা টাকা ফেলে গেছে তারা জানে না।
বগুড়া সদর থানার ওসি বদিউজ্জামান জানান, সন্ধ্যার পর ওই এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় দৌড়ে পালানোর সময় অথবা কোনো পথচারী চলাচলকালে কারও কাছ থেকে অসাবধানতাবশত টাকাগুলো পড়ে থাকতে পারে। তবে পরিমাণ খুব বেশি নয়। আর টাকা ভাসছে এটা একটা নিছক গুজব ছাড়া কিছু নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।