জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের শাড়ির জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক স্বত্ব বাংলাদেশের রাখার জন্য ভারতে আইনজীবী নিয়োগ করেছে সরকার। সোমবার শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিয়ে এ তথ্য জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়।
টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আজকের মধ্যে এ তালিকা করে হাইকোর্টকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন তিনি।
সম্প্রতি কয়েকশ বছরের পুরনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে আরও দুটি পণ্য।
কোনো পণ্যের জন্য আবেদন করার অর্থ এই নয় যে, সেগুলো জিআই সনদ পাওয়ার মতো যোগ্য বা পাবেই। নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হয় কোন পণ্য এ তালিকায় উঠবে। যাচাই-বাছাইয়ের পর এগুলোর কোনোটি যদি জিআই সনদ পেয়ে যায়, তা হলে তখন সেগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বদরবারে পরিচিতি লাভ করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।