ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেস, এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্যালাতাসারের কাছে হেরেছিল আগের সপ্তাহে। এরপর শনিবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে চেলসির মুখোমুখি হলো লিভারপুল। কিন্তু এই ম্যাচেও জয়ে ফিরতে পারলো না। বরং, ড্র করতে করতে, শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে চেলসির কাছে হারতে হলো অল রেডদের।
মৌসুমের শুরু থেকে শেষ মুহূর্তে গোল করে জয়ের একটা অলিখিত নিয়ম করে ফেলেছিল লিভারপুল। কিন্তু বিষয়টা যে বিপজ্জনক, তা বুঝতে পারলেও সেখান থেকে বের হতে পারছিল না। অবশেষে শেষ মুহূর্তে উল্টো গোল হজম করে ক্রিস্টালের কাছে হেরেছিল ২-১ ব্যবধানে। এবার চেলসির কাছেও ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে, ৯০+৫ মিনিটের সময় ব্রাজিলিয়ান তরুণতুর্কী এস্তেভাওয়ের গোলে।
অন্যদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই হার শেষে লিভারপুলকে হারিয়ে দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটলো চেলসির। লিগে আগের দুই ম্যাচে ব্রাইটন ও ম্যানইউর কাছে হেরেছিল ব্লুজরা।
চেলসির জয়ের নায়ক ব্রাজিলিয়ান ১৮ বছর বয়সী তারকা এস্তেভাও। ম্যাচের ইনজুরি সময়ের পঞ্চম মিনিটে (৯০+৫ মিনিট) মার্ক চুচুরেলার দারুণ ক্রস থেকে ডানদিকের ফার পোস্টে ছুটে গিয়ে ১৮ বছর বয়সী এস্তেভাও বলটিকে ঠিকানা পাইয়ে দেন। লিভারপুল ডিফেন্ডার অ্যান্ডি রবার্টসনকে হারিয়ে তার শট জালে জড়াতেই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শুরু হয় উন্মাদনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই চেলসি দাপট দেখা। মাঝমাঠে গতি ও পাসে লিভারপুলকে চাপে রাখে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪তম মিনিটে মোয়েসেস কাইসেদোর দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা- ২৫ গজ দূর থেকে বলটি ডান কোন দিয়ে যায় সরাসরি গোলরক্ষক জর্জি মামারদাশভিলির হাতের নাগালের বাইরে।
রক্ষণে দৃঢ় চেলসি একাধিকবার মোহাম্মদ সালাহ ও কোডি গাকপোকে গোল করা থেমে থামিয়ে দেয়। রিস জেমস বারবার সালাহকে পিছু হটতে বাধ্য করেন, চেলসির প্রেসিং ছিল সংগঠিত ও দৃঢ়।
বিরতির পর লিভারপুল মাঠে ফিরে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। বদলি হিসেবে নামা ফ্লোরিয়ান ভির্ৎজ দ্রুত প্রভাব বিস্তার করেন। তার পাসে সালাহ গোলের সুযোগ পেলেও পোস্টের বাইরে মেরে বসেন।
এরপর ডোমিনিক সোবজলাইয়ের ক্রসে আলেক্সান্ডার ইসাক বল নামিয়ে দেন এবং সেখান থেকে গাকপোর শটে লিভারপুল সমতায় ফেরে (১-১)।
চেলসির কোচ এনজো মায়রেস্কা আগে থেকেই একাদশ সাজিয়েছিলেন চারজন সেন্টার-ব্যাক ছাড়া। ম্যাচ চলাকালীন বেনোয়া বাদিয়াশিলে ও জশ আচেমপং চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। বাধ্য হয়ে তরুণ জোরেল হ্যাতোকে মাঠে নামাতে হয়, যিনি ছিলেন শেষ অবশিষ্ট সেন্টার-হাফ।
শেষ দিকে সুযোগ পেয়েও মিস করেন এনজো ফের্নান্দেজ- এস্তেভাওয়ের ক্রস থেকে তার হেড পোস্টে লাগে। কিন্তু ভাগ্য চেলসির পক্ষেই ছিল। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে চুচুরেলার নিচু ক্রসে স্লাইড করে গোল করেন এস্তেভাও, ম্যাচ শেষ হয় ২-১গোলে।
গোলের পর উল্লাসে মাঠে ছুটে যান কোচ এনজো মায়রেস্কা, যার ফলে তাকে পরবর্তীতে রেফারি স্ট্যান্ডে পাঠিয়ে দেন। দর্শকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পপ তারকা ম্যাডোনা, যিনি দাঁড়িয়ে করতালি দেন চেলসির জযের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে।
এই হারের পর লিভারপুল দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেলো। টানা দুই ম্যাচ হেরে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি পয়েন্ট হারালো তারা। ফলে ৭ ম্যাচে তাদের অর্জন এখন ১৫ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠলো আর্সেনাল। ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে চেলসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।