জুমবাংলা ডেস্ক: টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চতুর্থদফা বন্যার কবলে পড়েছেন নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের নদী অঞ্চলের বাসিন্দারা। তলিয়ে গেছে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলো। রোপা আমন ও সবজির খেত এখন পানির নিচে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে অনেকেই গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু স্থানে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ধরলা নদীর পানি লালমনিরহাটে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ও কুড়িগ্রামে ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফলিমারী গ্রামের নবির হোসেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত বন্যাগুলোর ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। এর মধ্যে চতুর্থ দফা বন্যা পরিস্থিতিতে আবারও বাড়ি-ঘর ছেড়ে সরকারি রাস্তা ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামের তাহের আলী বলেন, ‘বাড়িতে কোমর সমান পানি উঠেছে। অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে গেছেন সরকারি রাস্তায়। আমরা কোনো রকমে খাটের ওপর আছি।’
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ‘অনবরত বৃষ্টিপাত হচ্ছে আর উজান থেকে পানি আসাও রয়েছে অব্যাহত রয়েছে। চতুর্থ দফায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।