অর্থনীতি ডেস্ক : গত সেপ্টেম্বর মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ এসেছে ৯৮৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অথচ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ এসেছিল চার হাজার ৩৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ প্রায় এক-পঞ্চমাংশে নেমে এসেছে। অর্থনীতিবদরা ধারণা করছেন, সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে অনলাইন পদ্ধতি চালু ও কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করার পর থেকে এ খাতে বিনিয়োগ কমছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সঞ্চয়পত্রসহ সব ধরনের জাতীয় সঞ্চয় স্কিম থেকে সরকারের নিট ঋণ আসে চার হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। এর আগের (২০১৮-১৯) অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ ছিল ১৩ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সঞ্চয়পত্রে নিট ঋণ ৬৫ শতাংশ কমেছে।
তাছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময়জুড়ে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ এসেছিল ৪৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা।
সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দুই হাজার ১৬০ কোটি ১৭ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এই অঙ্ক গত বছরের জুলাই মাসে আসা নিট বিনিয়োগের অর্ধেকেরও কম এবং আগের মাস জুনের তুলনায় ৩২ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম।
আগস্টে সঞ্চয়পত্রের ঋণ আরও কমে আসে। ওই মাসে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগ আসে এক হাজার ৫৫২ কোটি ডলার। পরের মাস সেপ্টেম্বরে নতুন করে ৯৮৫ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের লক্ষ্য ধরা আছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাত থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে করা হয় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্রে নিট ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।